দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। তাই কেনাকাটায় ধুম পড়েছে শপিংমল ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে। পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতারা বলেন, এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাখ পর পর হওয়ায় কেনাকাটায় যুক্ত হয়েছে বাড়তি মাত্রা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঈদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, সুতি, কটন, লিলেন, জর্জেট ও বিসকস কাপড়ের মধ্যে হালকা ও রঙিন কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, ঈদে এবার বেশ গরম পড়তে পারে। তাই কেনাকাটায় প্রাধান্য পাচ্ছে সুতির পোশাক।
তবে বেশিরভাগ পোশাকের দাম চড়া এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের। দামের বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, সুতাসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম বাড়ায় বেড়েছে পোশাকের উৎপাদন খরচ। যার প্রভাব পড়েছে দামে।
বাচ্চাদের ঈদ কেনাকাটা আগেভাগে সেরে রাখতে পুরান ঢাকা থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে এসেছেন আফিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, বাচ্চাদের তো ঈদের খুশিটা অনেক বেশি। তাই তাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে চলে এসেছি। এখন ওদের পছন্দ অনুযায়ী, ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছি। তবে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। আমাদের জন্য হয়তো তেমন কিছু না কিনলেও চলে। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য তো না কিনলে হয় না।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের বাজারগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ম আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো। বিক্রেতাদের দাবি ফুটপাতের দোকানে দাম তেমন বাড়েনি।
জসিম নামে রাজধানীর পান্থপথের ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জানান, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসেন। আমরাও তাদের কাছে সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঈদকে সামনে রেখে তৈরি পোশাকের পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার ইসলামপুরে দম ফেলার ফুরসত মিলছে না কারও। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্রয়াদেশ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পাইকাররা। ব্যস্ততার কমতি নেই তাদের সহযোগীদেরও। সালোয়ার কামিজ, ফ্রক, শাড়ি, লুঙ্গি, বোরকা, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক সরবরাহ করা হচ্ছে এ পাইকারি বাজার থেকে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দেশি কাপড়ের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই পূরণ করে ইসলামপুর। বিদেশি কাপড়ের ক্ষেত্রে এ হার ৬০ শতাংশ।
উল্লেখ, এবার ফ্যাশন হাউজগুলোতে তরুণদের জন্য রয়েছে হালকা ডিজাইনের পাঞ্জাবি-পাজামা, শার্ট, টিশার্ট। তরুণীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার ও কামিজ। রয়েছে শিশুদের সব ধরনের পোশাকের কালেকশন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :