দেশের বাজারে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ভারত থেকে আরও ৬৫০ টন আলু আমদানি করেছে আমদানিকারকরা। দেশের বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত আলু আমদানি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই আলু আমদানি করা হয়।
হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক সাহাবুল ইসলাম বলেন, সরকার দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আলু আমদানির অনুমতির মেয়াদ দেওয়া ছিল। পরবর্তী সময়ে যা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। আবারও সেই সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বন্দর দিয়ে অনিয়মিতভাবে আলু আমদানি হচ্ছিল। তবে চলতি সপ্তাহে বন্দর দিয়ে আলুর আমদানি খানিকটা বেড়েছে। আর আলু আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। হিলি স্থলবন্দরের ৫০ জন আমদানিকারক প্রায় ৩৫ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছিলেন।
এরআগে, বুধবার (৩ এপ্রিল) বন্দর দিয়ে ৬৭৮ টন, মঙ্গলবার ৩৪৮ টন ও সোমবার ৫৭ টন আলু আমদানি হয়েছিল।
সম্প্রতি আবারও দেশের বাজারে আলুর দাম বাড়লে ও আমদানির মেয়াদ বাড়ানো হলে আলু আমদানি শুরু করেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। বর্তমানে ভারত থেকে কার্ডিনাল জাতের আলু আমদানি করে সরকারের কেজি প্রতি শুল্ক ৭ থেকে ৮ টাকা যোগ করে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। দুদফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর সময়সীমা নির্ধারণ করে সরকার। পরবর্তী সময়ে সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে আলু আমদানি বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে আবারও দেশে আলুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে ১ ফেব্রুয়ারি আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/ড.য়.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :