পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বাজারে আবারো বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংসও বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে। খাসির মাংস সাধারণত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও সোমবার (৮ এপ্রিল) বিক্রেতাদের কেউ কেউ এই মাংসের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত চেয়েছেন। ব্রয়লার মুরগির কেজি আড়াইশ টাকায় উঠেছে। সোনালি মুরগির দাম ছাড়িয়েছে কেজি ৩৫০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়, বেশি বাড়ে মুরগির চাহিদা। এই বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত তিন দিনে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে।
গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ থেকে ৮২০টাকা। যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ৭০০ থেকে ৭৫০টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অনেকটা একই হারে বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম এখন ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা।
ঈদের আগে মাংসের দাম বাড়ায় ক্রেতারা স্বভাবতই ক্ষুব্ধ। শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে ক্রেতা আসিকুর রহমান বলেন, ঈদের মতো উৎসব এলে দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের পুরোনো অভ্যাস। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেশি দিয়ে গরুর মাংস কিনলাম। সমস্যা হলো, এটা দেখার কেউ নেই। বাজার মনিটরিং হয় না।
মাংস বিক্রেতা জানান, গরু ও খাসির দাম বাড়ায় তিনি মাংসের দাম বাড়িয়েছেন। তিনি গরুর মাংস বিক্রি করেছেন ৮০০ টাকা কেজি। সকাল থেকে তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। একদাম ৮০০ টাকা কেজি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :