ঈদের আগে তরমুজের দাম কমে গিয়েছিল। বড় আকারের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছিল ৩০-৪০ টাকায়। সেই তরমুজই ঈদের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়।
তরমুজের বাড়তি দামের বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের মধ্যে সরবরাহ কম ছিল। এছাড়া মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে নতুন করে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে।
রাজধানীর মিরপুর বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী আলি আহামদ বলেন, পাইকারিতে দাম বেড়েছে, কিছু করার নেই। নিলে নেন, নইলে বাদ দেন।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে মানুষ তরমুজ বয়কট করায় বিক্রি তলানিতে নেমেছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়াচ্ছে, মানুষ তরমুজ না কিনলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সোজা হবে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী লিমন হোসেন বলেন, ডায়াবেটিস আছে, তাই অন্য ফলের চেয়ে তরমুজটা একটু বেশি খাই। ঈদের আগের তুলনায় আবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকায় তো মানুষ নেই। তরমুজ কেনার মানুষ নেই। এরপরও বিক্রেতারা দাম ছাড়ে না।
রাজধানীর খুচরা বাজারে মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম নামে ৮০ টাকায়। সেই সময় বেশি দাম ও তরমুজ অপরিপক্ব হওয়ায় মানুষ খুব একটা তরমুজ কেনেননি। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। তখন কমে যায় তরমুজের দাম।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :