রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মো. মামুন (৩০)। মাছ কাটার পেশায় যুক্ত আছেন একযুগ ধরে। সকাল থেকে বিকেল অবধি মাছ কাটার কাজ করেন তিনি। দৈনিক এক থেকে ২ হাজার টাকা আয় হয়। মাস শেষে যা প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়। তার মত আরও অনেকেই এখানে মাছ কাটার জন্য দা-বঁটি নিয়ে বসেন। ক্রেতারা মাছ কেনামাত্র তারা সেগুলোর আঁশ ছাড়িয়ে চাহিদামতো কেটে দেন। বিনিময়ে নেন মাছের পরিমাণ অনুযায়ী পারিশ্রমিক।
মামুন জানান, কারওয়ান বাজারে এ পেশায় অনেকেই জড়িত রয়েছেন। পুঁজিবিহীন এ পেশায় শুধু বসার জায়গাটি ভাড়া নিতে হয়। আর প্রয়োজন হয় একটি বঁটির।
মাছ কাটার এ পেশায় নির্দিষ্ট কোনো কর্মঘণ্টা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকাল থেকে বিকেল অবধি মাছ কাটার কাজ করি। এতে দৈনিক এক থেকে ২ হাজার টাকা আয় হয়। মাস শেষে যা প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়।
মাছ কাটার পারিশ্রমিক সম্পর্কে জানতে চাইলে মামুন বলেন, মাছের প্রকারভেদ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়। ছোট মাছ কাটতে কষ্ট বেশি হওয়ায় পারিশ্রমিকও বেশি নেয়া হয়। তাছাড়া নির্দিষ্ট কোনো পারিশ্রমিক নেই। ক্রেতার সঙ্গে দরদাম করে যেটি ঠিক হয়, সেটি নেয়া হয়।
মামুনের মতো কারওয়ান বাজারে মাছ কাটার কাজ করেন আরও অনেকে। তারা বলেন, প্রতিদিন ভোরবেলা কাজ শুরু হয়। একা সব কাজ সামলে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই অনেক সময় সাহায্য নিতে হয় অন্যদেরও। কেউ কেউ মাছ কেটে দৈনিক আয় করেন ৩ হাজার টাকার ওপরেও। তবে সেটি হাতে-গোনা দুই-একজন।
এদিকে, ক্রেতারা জানান, বাসায় গিয়ে মাছ কাটার ঝামেলা এড়াতে বাজার থেকে কেটে নিয়ে যাওয়াই ভালো। অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পছন্দমতো মাছ কেটে নেয়া যায়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :