পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স পরিচালনা পর্ষদ ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। কিছু পরিচালকের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পর্ষদ সাসপেন্ড করে এই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ফেরদৌসকে। প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের পর যত দ্রুত সম্ভব কম্পানিটিতে দেশি বা বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা সম্পন্ন করতে বলেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই সঙ্গে বীমা পলিসি ইস্যুসহ কম্পানির সব কার্যক্রম পরিচালনা করবেন প্রশাসক।
আইডিআরএ জানিয়েছে, রবিবার থেকেই প্রশাসক নিয়োগ কার্যকর করা হবে। বীমা কম্পানিটি প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তাতে সই করেছেন আইডিআরএর পরিচালক (উপসচিব) আব্দুল মজিদ। এসংক্রান্ত চিঠিতে তিনি সই করেন গত ১৮ এপ্রিল।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল আইডিআরএ থেকে এক চিঠিতে সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ড করে কেন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে ১৮ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের আয়োজিত এসংক্রান্ত শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এর আলোকে গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নেন সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। তবে এর আগের দিন ১৭ এপ্রিল কম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের তিনজন পরিচালক পদত্যাগ করেন। তাঁরা হলেন আহমেদ রাজিব সামদানী, হুদা আলী সেলিম ও হাজেরা হোসেন।
প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত আইডিআরএর চিঠিতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিলের শুনানিতে কম্পানির পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান নূর-এ হাফজা পৃথকভাবে জবাব দাখিল করেন। আর বোর্ডের পক্ষে জবাব দাখিল করেন কম্পানিটির বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান।
একুশে সংবাদ/ক.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :