AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এসি-ফ্যানের বাজারে আগুন


Ekushey Sangbad
জাহাঙ্গীর আলম
০৩:০৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
এসি-ফ্যানের বাজারে আগুন

দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুতের লোডশেডিংও বেড়েছে। অসহ্য গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ভিড় করছেন চার্জার ফ্যান ও এসির দোকানে। আর চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সুযোগে এসব পণ্যে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, বাড়তি দাম দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও  মিলছে না ফ্যান ও এসি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট, পল্টন, বিজয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গত মার্চ থেকে ফ্যান ও এসির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগানেও টান পড়েছে। ব্র্যান্ডের শপগুলো চাহিদা মতো ফ্যান দিচ্ছে না। এজন্য নন ব্র্যান্ড ও বিদেশি ফ্যান বিক্রি করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আর সেই সুযোগে ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। সাইফুল নামে এক ক্রেতা বলেন, ছোট নন ব্র্যান্ডের ফ্যানগুলোর দাম চাইছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। অথচ গত বছর এগুলোর দাম ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

আশিক নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডের ১২ ইঞ্চি ফ্যান কোথাও চাইছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা কোথাও ৪ হাজার টাকা। আর একই ব্র্যান্ডের ১৪ ইঞ্চি ফ্যান চাওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট (৯-১০ ইঞ্চি) স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়।

একই ব্র্যান্ডের ফ্যানের ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলেন, কেউ আগের বছরের ফ্যান কিছুটা কমে বিক্রি করছে। গরম বাড়লে ফ্যানের দাম আরো বাড়বে।

গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে একটি দোকানে এসি কিনতে ভিড় জমে যায় ক্রেতাদের। কারও এক টন কারও প্রয়োজন দুই টনের এসি। তারা দরদাম ঠিক করছেন। কেউ দাম শুনে এসি না কিনেই চলে যাচ্ছেন। মহাখালী থেকে আসা ক্রেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, গরমে অসহ্য হয়ে পড়েছি। ফ্যানের বাতাসে কাজ হয় না। তাই এসি কিনতে এসেছি। তবে এসির দাম অনেক বেশি। দুই সপ্তাহ আগে যে এসি ৪৫ থেকে ৫২ হাজারের মধ্যে পাওয়া যেত এখন সেটা ৬০ হাজার টাকার বেশি।

এসি কিনতে আসা রুমিন আফরোজ বলেন, দেড় টনের এসি কিনতে বাজারে এসে দেখলাম দাম বেশ চড়া। ভেবেছিলাম দাম কমলে দুদিন পর নেব, কিন্তু যে গরম পড়েছে তাতে এসিটাও খুব জরুরি। তাই তাড়াতাড়ি দুটনের একটি এসি নিয়ে নিলাম। তবে এলাকার খুচরা দোকানগুলোর চেয়ে এখানকার পাইকারি দোকানে এসির দাম কিছুটা কম আছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে এসি  হাতে পেয়েছেন উত্তরা থেকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে আসা ব্যবসায়ী রতন। তিনি বলেন, গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে এসির। এতে দোকানগুলো ভিড় বাড়ায় এসি কিনতে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সিরিয়াল দিয়ে ১২ ঘণ্টা পর পণ্যটি হাতে পেয়েছেন কেউ কেউ। আবার পাননি অনেকে।

এসকোয়ার ইলেকট্রনিকসের এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়, দেড় টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার টাকায়। ভিশনের এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৭ হাজার ও দেড় টনের এসি ৬৫ হাজার টাকায়। এছাড়া গ্রি এক টনের এসি ৫১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শোরুমগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলছেন, ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার দুই এসির বিক্রি ভালো। তবে বেশিরভাগ ক্রেতাই জানেন না, কী ধরনের এসি কিনতে হবে। এছাড়া এসি ইন্সটেলশন চার্জ ১০ হাজার টাকা। আর ক্রেতাদের জন্য সামান্য ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা আছে।

এসির পরিবেশক প্রতিষ্ঠান সরকার এন্টারপ্রাইজের শেয়ারহোল্ডার এসি দামের বিষয়ে বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে এসির চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর শুরু থেকেই প্রতিটি এসির দাম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি। এছাড়া ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে দেরি হওয়ায় পণ্য আসতে দেরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত মাসের শুরুতে যে এসির দাম ৩৫ হাজার ছিল, ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে ক্রেতারা বেশি দামে কিনছেন। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে গিয়ে পণ্য পর্যাপ্ত থাকছে না। ফলে কিছুসংখ্যক ক্রেতা ফেরতও যাচ্ছেন।

এসির বাজার যখন পুড়ছে দামের উত্তাপে তখন অনেকে ঝুঁকছেন রিচার্জেবল ফ্যানের দিকে। তাতেও নেই ঠান্ডার আভাস। ক্রেতারা বলছেন, রাত পেরিয়ে দিন হলেই দামের তারতম্য ঘটছে; যা দেখার কেউ নেই। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় ফ্যানের বাজার এখন চড়া তিন দিনের ব্যবধানে আবারও রিচার্জেবল ফ্যানের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০০ টাকা।


একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

Link copied!