আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সেইসঙ্গে বাজেটের ঘাটতি কমানো ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষা মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন, ক্রেডিট ইনফরমেশন ও ঋণ খেলাপি বিষয়ে পলিসি অ্যাডভাইজর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের বিশেষ প্রতিনিধি দলের চলমান সিরিজ বৈঠকে এ সব কথা উঠে আসে।
তারা জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার কমানো যেতে পারে। পাশাপাশি বাজেটের ঘাটতি কমানোসহ রাজস্ব আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাজেটের আগে অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছে আইএমএফের বিশেষ প্রতিনিধি দল। তবে এবারের সফর মূলত বাংলাদেশের ঋণ পাওয়ার শর্ত নিয়ে। সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে সংস্থাটি। আগামী ৮ মে পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই আইএমএফ প্রতিনিধিদল আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তাদের পরামর্শ বাজার আকার ও ঘাটতি কমিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর। পাশাপাশি তারা ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর তাগিদ দিয়েছে।
আইএমএফের পরামর্শ আগামী বাজেটে দরিদ্রদের ভাতা বাড়ানো। বর্তমানে ভাতার পরিমাণ কোনোটা ৫০০, আবার কোনোটা ৫৫০ ও ৬০০ টাকা। আইএমএফের পরামর্শ এ ভাতার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হোক।
এ সময় অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে, বাজেট বাজেটের মতো চলবে। এটি যেহেতু রাজনৈতিক সরকারের বাজেট, তাই বাজেট প্রণয়নের সময় ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকেও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।
বৈঠক বাজেটের আকারের পাশাপাশি বাজেট ঘাটতি ও রাজস্ব সংগ্রহ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে পর্যন্ত আইএমএফের দলটি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে সংস্থাটি।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। সে সময় রাজস্ব বৃদ্ধি, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ বিভিন্ন শর্ত দেয় সংস্থাটি। ইতিমধ্যে দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছাড় করেছে। তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা আগামী মাসের শেষ দিকে।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) শুরু হওয়া এসব বৈঠকে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছে আইএমএফ। এছাড়া এনবিআরের সঙ্গে রাজস্ব আয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে। ব্যাংক একীভূত নিয়ে কথা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :