অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সোমবার (৬ মে) সকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসে সংস্থাটি।
বাংলাদেশকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি প্রদানের আগে ঋণের শর্ত কতটুকু পরিপালন হলো তার অগ্রগতি ও পদক্ষেপ জানতেই চলমান এ বৈঠক। ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের সঙ্গেও বৈঠক করছে প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে ওয়াশিংটনে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ঋণের তৃতীয় কিস্তির জন্য ১০টি শর্তের মধ্যে ৯টিই পূরণ করেছে বাংলাদেশ।
আর গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানিয়েছিলেন, আইএমএফ দলের সঙ্গে চলমান বৈঠকের বিষয়ে মধ্যবর্তী আলোচনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতিনিধি দল যে বিষয়গুলো নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন, সেসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছেন।
রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের বিষয়ে প্রতিনিধি দল তথ্য নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একইসঙ্গে তাদের নতুন প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছে। এরমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কথা হয়েছে। কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।
মেজবাউল হক বলেন, এ ছাড়া আমাদের অর্থনীতির অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে।
ডলার রেট নিয়ে ক্রলিং পেগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ক্রলিং পেগ সিস্টেমে ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর ব্যাংকগুলোকে নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। যেসব তথ্য আইএমএফ পেয়েছে সেগুলো এখন তারা পর্যালোচনা করে আগামী ৮ মে ক্লোজিং সেশনে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে আইএমএফ দলটি বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছে। বাজেটের আগ মুহূর্তে ঢাকায় আসা আইএমএফ দলটি মূলত সংস্থাটি থেকে প্রাপ্ত ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি জানতে চাচ্ছে বাংলাদেশের কাছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :