গত বছরের তুলনায় এবছর ঝড়-বৃষ্টি তেমন না থাকায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে সোনারগাঁয়ে লিচুর মৌসুমের শুরুতে গাছে-গাছে লাল আর গোলাপি জাতের লিচুগুলোর দাম একটু বেশি হবে বলে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান। তাই গাছের লিচু বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন বাগান মালিকরা।
সোমবার (৬ মে) সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায়, কয়েকটি লিচু বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা লিচু পাড়ছেন। ঈদুল ফিতরের পর থেকে লিচু বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বেশিরভাগ বাগান অনেকটা ফাঁকা। আর ১৫ থেকে ২০ দিন পর পাইকাদের আনাগোনা বাড়বে। সোনারগাঁ থানার কয়টি ইউনিয়নে লিচুর বাগান রয়েছে। তবে সোনারগাঁ পৌরসভা ইউনিয়নে সবচেয়ে ভালো মানের লিচু পাওয়া যায়।
পৌরসভা ইউনিয়নের লিচুর দাম একটু বেশি হলেও এখানকার লিচু অন্যসব ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটাই ভালো বলে দাবি করেছেন ওই ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিকরা। আগে থেকেই বাজারের বেশ চাহিদা রয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফলের। যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বেল, তরমুজ, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি ফলের।
সোনারগাঁয়ের লিচু বাগান মালিক বদির হোসেন একুশে সংবাদ.কমকে জানান, তার বাগানে ১৬টি গাছ রয়েছে। এক একটি গাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার পিস লিচু পাওয়া যাবে। খুচরা পাইকারি থেকে শুরু করে আরও বাগান থেকে লিচু পেড়ে নিয়ে যান। প্রতি হাজার পিস লিচু ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
বাগান মালিক আমির হোসেন জানান, আমার বাগানে ১০টি গাছ রয়েছে আমি এবার ভালো ফলন পেয়েছি। আমার গাছের লিচুর সাইজ ভালো। তাই আমি প্রতি ১শ পিস লিচু সাড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করেছি।
বাগান পাহারাদার মিরাজ জানান, লিচু বড় হওয়ার পর থেকেই আমি বাগানে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। যাতে কেউ গাছ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য দিনরাত আমি এখানেই থেকে পাহারা দেই। প্রতিদিন পাহাড়ের জন্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাই।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশের সেরা পরিচিত লিচুর জাতের মধ্যে রয়েছে- দেশি লিচু, চায়না ৩, বোম্বাই, বারি লিচু মোজাফ্ফরপুরী, মঙ্গলবারী, বেদানা, এলাচ এদেশে এটাই সর্বোত্কৃষ্ট ইত্যাদি জাতের লিচু পাওয়া যায়। রাজশাহী, যশোর, দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় লিচুর চাষ হলেও দিনাজপুরে উৎপাদিত লিচুকেই দেশের সেরা লিচু বলে দাবি করেন সেখানকার চাষিরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :