গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে সাতটি বড় কোম্পানি দরপত্র গ্রহণ করেছে। এছাড়া আরও অনেকগুলো বিদেশি কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সমুদ্র বিজয়ের পর সমুদ্র সীমা নির্ধারণ শেষে বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের মাধ্যমে তেল গ্যাস উত্তোলনের জন্য। বিনিয়োগকারী কোম্পানির মাধ্যমে তেল গ্যাস উত্তোলন করে দেশবাসীর কাছে সরবরাহের জন্য নীতিমালা প্রণয়নও করেছে সরকার। সম্পন্ন হয়েছে গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় জরিপের কাজও।
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে অফসোর বিডিং নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এই সকল বিষয় তুলে ধরা হয় স্টেক হোল্ডারদের সামনে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ কাজে অংশ নিতে তাদের আগ্রহ জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে সাতটি বড় কোম্পানি দরপত্র গ্রহণ করেছে। আরও অনেকগুলো কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্রের কাজ শেষ হবে। সার্বিক মূল্যায়ন শেষে আগামী বছর চুক্তিবদ্ধ কোম্পানি চূড়ান্তভাবে কাজ শুরু করবে।
আর প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বলেছেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে তথা দক্ষিণ এশিয়ায় চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান শুরুর বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। বাংলাদেশ এবং আগ্রহী বিনিয়োগকারী উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করেই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে চারটি বিদেশি কোম্পানি গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করলেও বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করেই ফিরে গেছে। একটি প্রতিষ্ঠান এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুইটি ব্লকে। বাকি ২৪টি ব্লকে অনুসন্ধান চালানোর জন্যই এবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :