ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে পশুর হাট। পশু বেচাকেনায় ব্যস্ত মানুষ। তবে বাজার ও মুদি দোকানগুলোতে শেষ সময়ে কিছুটা চাপ বেড়েছে সেমাইসহ নানা মুদিপণ্যের। বিক্রেতারা জানান, রোজার ঈদের মতো বিক্রি না হলেও সেমাইয়ের বেচা বিক্রি আশানুরূপ। দাম সামান্য বাড়লেও নাগালের মধ্যেই আছে।
শনিবার (১৫ জুন) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা ও কালীগঞ্জ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানি ইউসুফ জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে মসলা, চিনি, পোলাও চাল, ঘি ও সেমাই বিক্রি। চাঁদরাতে এসব পণ্যের চাপ আরও বাড়বে।
আর ক্রেতারা জানান, ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের দাম। বিশেষ করে মসলার দাম আকাশছোঁয়া। পিছিয়ে নেই সেমাই, চিনি ও পোলাও চালও।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনছেন। ক্রেতারা বলেন, মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কাছে ভোক্তারা জিম্মি। রোজার ঈদের সময় যেমন ঈদপণ্যে ব্যবসায়ীরা পকেট কেটেছিল, ঠিক তেমনি কোরবানির ঈদেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাজারে ২০০ গ্রামের প্রতিপ্যাকেট চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পাশাপাশি খোলা সাদা সেমাই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও লাল সেমাই ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২০০ গ্রামের ঘি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
বাড়তি দরের তালিকায় আছে পোলাও চাল। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, আর চিনির জন্য গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া বাজারে প্রকারভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৩২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা ও কাঠবাদাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :