দেশের চামড়া শিল্পের ব্যবসার আকারে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। এর প্রায় অর্ধেকই আসে বিদেশের বাজার থেকে। অথচ দেশের রপ্তানি ঘুরপাক খাচ্ছে এক বিলিয়ন ডলারের ঘরে। কারণ আর্ন্তজাতিক এলডব্লিউজি সনদের অভাবসহ নানা কারণে ধুঁকছে এই শিল্প। তবে এই শিল্পের শ্রমিক নেতা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, পরিস্থিতির জন্য ট্যানারি মালিকরাই দায়ি।
সাশ্রয়ে দেশীয় চামড়াজাত পণ্য কিনে বাংলাদেশের ক্রেতারা লাভবানই হচ্ছেন বলা যায়। এমনি মেড ইন বাংলাদেশ লেদার সু অ্যান্ড লেদারগুডস কিনে তৃপ্ত হতে পারতেন অনেক বেশি সংখ্যক বিদেশি ক্রেতা। কিন্তু সে সম্ভবানার তুলনায় অর্জন নগন্য।
দেশে পাওয়া কাচা চামড়ায় প্রক্রিয়াজাত ফিনিশড লেদার এবং এ দিয়ে তৈরি জুতা ও চামড়াপণ্যের বিক্রির হিসেবে দেশে-বিদেশে এই শিল্পের ব্যবসার আকার ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর অর্ধেক আসে রপ্তানি থেকে। তবে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ছে না!
ইপিবি’র হিসেবে, চলতি অর্থ-বছরের ১১ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমে শূণ্য দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের নেমেছে। যেখানে বৈশ্বিক বাজার এখন ৪৬৮ বিলিয়ন ডলার।
এমনকি ট্যানারি খাতের শ্রমিক নেতাও জানেন যে, কমপ্লায়েন্সের অভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্য এখন দাম পাচ্ছে না। আর চাহিদাও বাড়ছে না।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলডব্লিউজি পাওয়ার জন্য আপনার কারখানা কমপ্লায়েন্ট কি না, আপনি পরিবেশ বান্ধব কি না, আপনি শ্রমিকদের সোস্যাল কমপ্লায়েন্স মিট করেন কি না, কোয়ালিটি মানে কি না- এগুলো কোনোটার মধ্যেই আপনি পড়েন না।
চামড়া শিল্প বিশেষজ্ঞ জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ট্যানারি মালিকদের দোষই বেশি।
তিনি বলেন, দেশে তামাক বোর্ড, চা বোর্ড আছে। তাদের যে আউটপুট, যে রেভিনিউ অথচ একটি চামড়া বোর্ড করতে পারে না!
বিশ্বজুড়ে চামড়াজাত পণ্যের বাজারের ৩০ শতাংশ চীনের দখলে এরপর আছে ভিয়েতনাম, ভারত, ইতালি ও ফ্রান্স। অন্যদিকে বাংলাদেশের দখল এক শতাংশের সিকিভাগও নয়। যদিও বিশ্বের মোট গবাদিপশুর প্রায় দুই শতাংশ লালন হয় এদেশে।
একুশে সংবাদ/ক.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :