সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আলুর দাম। খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। এক মাস আগেও খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা এক বছর আগে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এতে করে এই সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সবজির দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেইটে আলুর দর বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর হিমাগার মালিকরা বলছেন, কৃষকরাই আলু বিক্রি করছেন বাড়তি দামে।
বর্তমানে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী বাজার ও মালিবাগে খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা।
সবজি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় আলু। তাই এ পণ্যের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে ক্রেতারা। তারা জানান, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। ভালো মন্দের কথা বাদ দিয়ে যদি শুধু ভর্তা ভাত খেয়েও বাঁচার কথা ভাবা হয় সেটাও এখন সাধ্যে বাইরে চলে গেছে। আলুর দাম যদি ৬০ টাকা কেজি হয় তাহলে কি খেয়ে বাঁচবে মানুষ।
বিক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার অস্থির হওয়ার পেছনে হিমাগারের ব্যবসায়ীরা দায়ী। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, হিমাগারগুলোতে ৩০ লাখ টন আলু মজুদ আছে। তবে, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকও দর বাড়িয়েছেন। এতে খুচরা বাজারে আলুর দাম বাড়ছে।
গত বছরের অক্টোবরে রেকর্ড গড়ে আলুর দর। তখন প্রতি কেজির দর উঠে ৭০ টাকা। যদিও এ দর বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার আলু উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টনের বেশি। কিন্তু হিমাগার মালিকরা বলছেন, উৎপাদন ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন। দেশে বছরে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টনের বেশি। ফলে, ঘাটতি আছে ১৫ লাখ টনের মতো।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :