ব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি সাত লাখ গ্রাহকসংখ্যার মাইলফক অর্জন করেছে, যা গ্রাহকদের মাঝে অ্যাপটির জনপ্রিয়তার প্রতিফলন। এই ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপটি গ্রাহকদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, যা তাদের ২৪/৭ ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও, অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনের ভিত্তিতে মোবাইল অ্যাপটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এক মাসে ১২,৫০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করে। এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের এক নতুন রেকর্ড। ২০২৩ সালের ৭১,০০০ কোটি টাকা লেনদেন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ৯২,০০০ কোটিরও বেশিতে উন্নীত হয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্মার্ট ব্যাংকিং সল্যুশনের এক অনন্য উদাহরণ এটি।
গত কয়েক বছরে অ্যাপটির গ্রাহকসংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে অ্যাপটির গ্রাহকসংখ্যা পূর্বের বছরের তুলনায় ৭৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচ লাখ গ্রাহকসংখ্যা নিয়ে ২০২৪ সাল শুরু করা অ্যাপটি এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দুই লাখ নতুন ব্যবহারকারীকে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলে, এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপে পরিণত করেছে।
বহুমুখী ফিচার, ব্যবহারে সহজ এবং সর্বাধিক নিরাপত্তা সংবলিত এই মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করে গ্রাহকরা মাত্র কয়েক ক্লিকেই তাঁদের ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন। আস্থা অ্যাপের বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা এবং এনগেজমেন্ট টুলস গ্রাহকদের সহজ এবং আনন্দদায়ক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যার ফলে, দ্রুত গতিতে অ্যাপটির গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতেও এর প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আস্থা’তে গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধানুযায়ী এনপিএসবি, বিইএফটিএন এবং আরটিজিএস ব্যবহার করে কোনোপ্রকার চার্জ ছাড়াই অন্য ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। এনপিএসবি এবং আরটিজিএসের মাধ্যমে গ্রাহকরা বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে ইনস্ট্যান্ট ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। মোবাইল ওয়ালেট ফান্ড ট্রান্সফার, কিউআর কোড-ভিত্তিক ‘স্ক্যান অ্যান্ড পে’, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ সুবিধাগুলো গ্রাহকদের জীবনকে করে তুলেছে আরও সহজ।
ফান্ড ট্রান্সফার ছাড়াও আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিপিএস এবং এফডিআর খোলা, নতুন পিন তৈরি, বিদ্যমান পিন পরিবর্তন, ভুলে যাওয়া পিন রিসেট এবং টেম্পোরারি কার্ড ব্লকসহ আরও বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি লেনদেনে গ্রাহকের নিবন্ধিত ফোন নম্বর/ইমেইল অ্যাড্রেসে ব্যাংক কর্তৃক প্রেরিত ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। ফলে, ব্যাংকিং লেনদেনে নিশ্চিত হয় অধিক নিরাপত্তা।অ্যাপটি আস্থা লাইফস্টাইল, চার্জ-ফ্রি ব্যাংকিং এবং ডিজিটাল রিওয়ার্ডের মতো নতুন নতুন সব ফিচার যুক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিং জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা অ্যাপের এমন অর্জন সম্পর্কে মন্তব্য করে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আস্থা অ্যাপ। ডিজিটাল ইনোভেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সহজ এবং সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টার দৃষ্টান্ত এটি। দ্রুত এই অ্যাপটির গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধিই প্রমাণ করে গ্রাহকদের কাছে এই অ্যাপটি কতটা জনপ্রিয় এবং কীভাবে এটি তাঁদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আস্থা অ্যাপটি গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকিং সুবিধার পুরো সমাহার নিয়ে হাজির হয়েছে। ‘ব্যাংক স্মার্ট’ ট্যাগলাইন নিয়ে অ্যাপটি গ্রাহকদের স্মার্ট ব্যাংকিং সল্যুশন প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘ক্যাশলেস কালচার’কে দারুণভাবে ত্বরান্বতি করছে।”
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :