ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা সম্প্রতি জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী সৃষ্টি ‘১৯৮৪’ বইটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আয়োজনে বইটির কৌতূহল সৃষ্টিকারী বর্ণনা এবং এখানে বর্ণিত স্বৈরশাসনের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেন পাঠচক্রের সদস্যরা। রিডিং ক্যাফের সদস্যরা মনে করেন, ১৯৮৪ গল্পটি প্রথমদিকে ধীর গতিতে এগোলেও পরবর্তীতে এটি পাঠকদের মনে চরম কৌতূহল সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁদেরকে গল্পে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
অরওয়েলের এই বইয়ে স্বৈরশাসনের চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উটেছে। কোনো নির্দিষ্ট নেতা কিংবা নিজের পরিচয় উন্মোচন ছাড়াই একজন স্বৈরশাসক কীভাবে নাগরিকদের জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, সেটিই লেখক চমৎকারভাবে চিত্রায়িত করেছেন এই বইয়ে। এই সাহিত্য আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা অরওয়েলের বইয়ে উল্লিখিত নজরদারি, সেন্সরশিপ এবং সত্যের বিকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন, যা বর্তমানে অনেক দেশ ও সমাজেও উপস্থিত রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
‘১৯৮৪’-এ অরওয়েল একটি স্বাধীনতাহীন এবং অত্যাচারী বিশ্বের কঠিন বাস্তবতা উপস্থাপন করেছেন বলে মনে করেন রিডিং ক্যাফের আলোচকরা। এই উপন্যাসের চ্যালেঞ্জিং বিষয়বস্তু পাঠকদের ক্ষমতা এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাবে জেনেও রিডিং ক্যাফের সদস্যরা এই বইটি পড়তে ও তা নিয়ে আলোচনা করতে একমত হয়েছিলেন।
এই আয়োজন নিয়ে মন্তব্য করে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন
বলেন, “অরওয়েলের লেখা ‘১৯৮৪’-এর মতো সাহিত্য নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের রিডিং ক্যাফের সদস্যরা উল্লেখযোগ্য অনেক সামাজিক বিষয়াবলি সম্পর্কে জেনেছেন, যা তাঁদের স্বাধীনতা এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এই ধরনের বইগুলো পড়া এবং তা নিয়ে আলোচনা একজন ব্যক্তির বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।”
সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা অন্বেষণের যাত্রায় রিডিং ক্যাফের সদস্যরা পরবর্তী সেশনে মাহরীন ফেরদৌসের ছোটগল্পের সংকলন ‘অরিগামির গোলোকধাঁধায়’ নিয়ে আলোচনা করবেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :