AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রমজানের আগে পণ্যের দাম স্থিতিশীল, বাজারে বাড়ছে সবজি দাম


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:৪৭ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
রমজানের আগে পণ্যের দাম স্থিতিশীল, বাজারে বাড়ছে সবজি দাম

আত্মশুদ্ধি, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবিক গুণাবলির প্রতীক পবিত্র রমজান ঘনিয়ে আসছে। প্রতি বছর এ সময়ে ছোলা, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, মুড়ি এবং খেজুরের মতো পণ্যের চাহিদা বাড়ে, ফলে দামও উঠতে থাকে। তবে, এই বছর রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের দাম এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে শীতকাল শেষ হতে চলায় বাজারে সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ বাজারে কিছু সবজির সরবরাহ কমেছে। নতুন কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজিও বাজারে এসেছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই তিনটি শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমেছে। যে কারণে সেসব পণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতিটি ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম আগের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি সিম ও বেগুনের দামও। তবে অন্যান্য সবজি আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়াও কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শসা ৫০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।

লাউ (পিস) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা এবং সাজনা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা কেজি দরে। গত বছর রমজানেও এ দামে ছোলা কেনা গেছে। একইভাবে খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকা ও মসুর ডাল ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাস দুই আগে চিনির দাম উঠেছিল ১২৫-১৩০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এ বিক্রেতা।

তবে অস্থিরতা রয়ে গেছে সয়াবিন তেলের বাজারে। ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকট এখনো কাটেনি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে সয়াবিন তেলের দেখা মেলেনি।

সরবরাহ সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু বিক্রেতা ১৭৫ টাকা লিটারের তেল ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। অনেকে তেলের বোতল কেটে ড্রামে ঢেলে চড়া দামে খুচরায় বিক্রি করছেন।

রমজানের আরেকটি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ। এবছর ভরা মৌসুম হওয়ার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ৪৫-৫০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

রমজান ঘিরে বাজারে মুড়ি ও খেজুরের চাহিদাও বাড়ে। বাজারে এখন প্রতি কেজি মুড়ি ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছরও এমন দাম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। তবে খেজুরের দাম কিছুটা কমছে। গত বছর রমজানের আগে পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। এবার সে তুলনায় খেজুরের বাজার স্থিতিশীল। প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর ২৫০-৩০০ টাকা এবং ভালো মানের খেজুর ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা কেজি, দেশী মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

 

একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস

Link copied!