সামষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের প্রথম কিস্তি গ্রহণ করে। আগামী জুন মাসে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে, এই অর্থ পেতে হলে রাজস্ব আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে হবে, বিশেষ করে কর ছাড়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।
এছাড়া, ঋণ কর্মসূচির আওতায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত এবং কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে আসার পর থেকে অর্থমন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলটির সদস্যরা।
বৈঠকে শেষে ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা জানান, রাজস্ব আদায় বাড়াতে বাতিল করতে হবে সব ধরনের কর ছাড়। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে থাকায় বাজারমুখী মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ে সন্তুষ্ট আইএমএফ প্রতিনিধিরা।
তারা জানান, বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের ৪র্থ ও ৫ম কিস্তি আগামী জুনে মিলতে পারে।
এছাড়া বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের মুখেও মূল্যস্ফীতি কমতে থাকায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে আইএমএফ। তবে বাংলাদেশকে আগামীতে বহুমুখী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জও সামলাতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রতিনিধি দলটি।
ঊল্লেখ্য, শর্ত ও সংস্কারের মধ্যে রয়েছে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা ও নিট রিজার্ভ সংরক্ষণসংক্রান্ত শর্ত পূরণ। প্রথম তিনটি রিভিউ মিশনে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হলেও চতুর্থ ও বর্তমানে চলমান মিশনে বেশ কঠোর অবস্থানে আইএমএফ।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :