একমাস পিছিয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা। ফলে পরীক্ষাটি আগামী আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে জুলাই মাসে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। কারণ জুলাই মাসে পরীক্ষা হলে উচ্চমাধ্যমিক ক্লাস শুরুর মাত্র ১৫ মাস পরেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হতো। অথচ উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাবর্ষ দুই বছরের।
শিক্ষাবিদদের ভাষ্য, এত তাড়াহুড়ো করায় শিক্ষার্থীরা যেমন চাপে পড়তো তেমনই তাদের শিক্ষার ঘাটতি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরবর্তী সেশন আগামী বছরের জুন-জুলাই মাস। তাই প্রায় এক বছর শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হবে। এতে অভিভাবকদের ব্যয়ের বোঝা বাড়বে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগস্টে পরীক্ষা নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্তের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে যাওয়ায় কলেজগুলোতে নির্বাচনী পরীক্ষাও এক মাস পিছিয়ে ৩০ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। গত ২ এপ্রিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে যে, ৩০ মে নির্বাচনী বা টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে এ পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
একুশে সংবাদ.কম/স.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :