দেশে নতুন ও পুরোনো মিলে মোট ৩৫৪টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রায় দুই হাজার শূন্য পদ পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে ইতোমধ্যে সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাউশি থেকে জানা গেছে, এ ৩৫৪টি স্কুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া প্রধান শিক্ষক সমপর্যায়ের পাঁচটি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) পদ শূন্য রয়েছে।
উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর ৫৩৩টি সহকারী প্রধান শিক্ষকের সবকটি পদই শূন্য। অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে এসব বিদ্যালয় পরিচালনা হচ্ছে। এতে নিচের স্তরেও পদ শূন্য হচ্ছে বলে মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
৩৫৪টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬৪টি ডিইও (জেলা শিক্ষা অফিস) অফিস ও ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের মোট পদ ১১ হাজার ৬১০টি। এর মধ্যে এক হাজার ৯৫২টি পদই শূন্য। সেই হিসাবে সহকারী শিক্ষকের প্রায় ১৭ শতাংশ পদ ফাঁকা রয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য আগামী ১৮ জুলাই ডিপিসির (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভায় সরকারি প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আরও জানা গেছে, মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর দুটি বিদ্যালয়সহ ঢাকা অঞ্চলের ১৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার সাভারে একটি এবং গাজীপুর জেলায় একটি, গোপালগঞ্জে দুটি, ফরিদপুরে চারটি, মাদারীপুরে একটি, রাজবাড়ীর দুটি ও শরীয়তপুরে একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
অন্যান্য শূন্য পদের মধ্যে ময়মনসিংহ অঞ্চলে আটটি, কুমিল্লা অঞ্চলে ৯টি, বরিশাল অঞ্চলে ১৩টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩১টি, খুলনা অঞ্চলে ২১টি, রাজশাহী অঞ্চলে ১৫টি ও সিলেট অঞ্চলে ১৩টি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। আর কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, নড়াইল, কুষ্টিয়া ও ভোলা এই পাঁচটি জেলায় শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে।
মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, ‘সবশেষে পিএসসির মাধ্যমে ২০১৯ সালে সহকারী শিক্ষক পদে বড় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। এর পর করোনা মহামারির কারণে আর বড় নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে অনেক শিক্ষক অবসরে চলে গেছেন, পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এজন্য এত সংখ্যক পদ ফাঁকা।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রায় দুই হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি পিএসসিতে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদও পূরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
একুশে সংবাদ/ঢ/পলাশ
আপনার মতামত লিখুন :