পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের জালিয়াতি ধরতে ‘সুরক্ষা’ নামে একটি অভিনব যন্ত্র বানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আগামী ২০ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, কোনো পরীক্ষার্থীর কানে জালিয়াতির ডিভাইস থাকলে বুয়েট উদ্ভাবিত যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকেই নকল ধরতে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে। ২৫টি যন্ত্র দিয়ে ৫টি টিম করে পরীক্ষা কেন্দ্রে এই যন্ত্রের পাইলটিং করা হবে। এর জন্য পরীক্ষার্থী বেশি এমন ৫টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এই জেলাগুলোতে আমরা পাইলটিং করব।
সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার প্রতিরোধে যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসি-কে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। যন্ত্রটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে। পরে বেশি উৎপাদন করা হলে দাম ৫ হাজার ৫০০ টাকা পড়বে।
তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ হাজার ২০১টি পদের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :