ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করলো কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। ১৫ জুলাই খুলনা বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করেন।
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ অবরোধ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকেল সোয়া ৫টা থেকে জিরো পয়েন্টের চারটি সড়ক অবরোধ করে ওই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এতে চারটি সড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে টানা কয়েকদিন ধরেই রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, পথযাত্রা, সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলা ব্লকেড’। রোববার ৭ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে বাংলা ব্লকেড`র ঘোষণা দেয়া হয়।
১৪ জুলাই চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাতে প্রথমে রোকেয়া হলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে আসেন। তারা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিক্ষোভ শেষে হলে ফিরে যান তারা।
একই সময়ে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
একই ইস্যুতে সোমবারও উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। দুপুরের দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে এসে অবস্থান নেন কয়েকশ আন্দোলনকারী। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে নানা স্লোগান দেন। তবে তাদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলাদা অনুষ্ঠানে তাদের স্লোগানের ভাষার তীব্র সমালোচনা করেন।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :