উচ্চ আদালতের রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। পাশাপাশি জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছান, যেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
একপর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন, যার ফলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। তাৎক্ষণিক তারা হাইকোর্টে এর প্রতিবাদ জানান।
জানা যায়, সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণ করার অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালত তার আদেশে এ নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এছাড়া রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনাসংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুলের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
একুশে সংবাদ/জ.ন/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :