অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের ৮৫ শতাংশের বেশি বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, ইতোমধ্যে ৮৪ শতাংশ বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, রবিবার তিনি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে চলতি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিক স্তরের (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি) সব বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে যাবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে ‘স্বাধীন পাঠক তৈরি: পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক রিডিং কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমাদের দেশে একজন মানুষ তার বাচ্চাকে কোথায় পড়াবে, সেটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। সুতরাং কেউ যদি মনে করে কিন্ডারগার্টেনে গেলে বাচ্চার ভালো পড়াশোনা হবে, সেটা তার ব্যাপার।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব দুইটি। প্রথমত, প্রাইমারি শিক্ষার মান যাতে বাড়ে আমরা সেই চেষ্টা করছি এবং যেসব জায়গাতে প্রাইমারি স্কুল ভালো চলে সেখানে কিন্তু লোকজন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্যই ভিড় করে। দ্বিতীয়ত, আমরা দেখব যেসব কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে তারা যেন আমাদের জাতীয় কারিকুলাম ফলো করে। কারণ, তাদের প্রাথমিক স্কুলের বইগুলো আমরা বিনামূল্যে দেই। ফলে তারা যেন এগুলো ফলো করে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও রুম টু রিড বাংলাদেশ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসনে আরা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাউল গনি, রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, দেশে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন উৎসব করে পাঠ্যবই বিতরণের রেওয়াজ থাকলেও এবার দেরিতে টেন্ডার আহ্বানসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেও শিক্ষার্থীরা অর্ধেক পাঠ্যবই হাতে পায়নি।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :