হুট করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল নাম উঠতি মডেল জেবা জান্নাত। তার এ ভাইরাল হওয়ার কারণ টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড এর নিষেধাজ্ঞা ও নাট্যনির্মাতা সাজ্জাদ দোদুলের বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ।
এক বিবৃতিতে ডিরেক্টরস গিল্ড জানিয়েছে, পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে আপনার অসহযোগিতা ও অসদাচরণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে আনীত আমাদের সম্মানিত সদস্য রাশেদা আক্তার লাজুকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি নিষ্পত্তিতে কোনোরূপ সহযোগিতা না করায় ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের সব সদস্য অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনাকে টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে সব প্রকার নির্মাণ থেকে বিরত থাকবে। সিদ্ধান্তটি আগামী ২০ জুন ২০২৩ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
এমন সিদ্ধান্তে অভিনেত্রী জেবা জানান, ঘটনাটি এক বছর আগের। আমি নিজেও বুঝছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। সেই সময় পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের কয়েকটা কাজ করেছি। এরপরই ওনার স্ত্রী লাজুক ভাবির (রাশেদা আক্তার) একটা ধারাবাহিকে কাজের কথা বলেন। আমি কাজটা শুরু করি। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে গভীর রাতে ট্রান্সপোর্ট সুবিধা না দেওয়া, গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং সহ বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হই। পরে দু-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান এই বলে, তাঁরা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তাঁরা কথা রাখেননি।’
তিনি আরো জানান, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই আমার পেছনে লেগেছেন তারা।
তবে এসব মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দোদুল।
এনিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক ভিডিও বার্তায় জেবা বলেন, ‘হ্যালো আমার নিউজ প্রেজেন্টারস। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। কারণ অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করেছেন আপনারা; যা আমি নিজেও জানতাম আমার ফেসবুকে ওয়ালে এত ছবি আছে। এখন মনে হয় আমার পরিবারের কাউকে আমার জন্য জামাই খুঁজতে হবে না, জামাই আমাকে খুঁজবে।’
উল্লেখ্য, জেবা জান্নাত জয়নাল হাজারির ফেসবুক টকশোতে প্রথমবার হাজির হয়েছিলেন। এরপর টিকটকে প্রথম নিজের পরিচিতি ছড়িয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে নাটকে নাম লেখান। এর পর টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন জেবা। ‘ক্রস কানেকশন’, ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশ কিছু নাটকে দেখা গেছে তাকে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :