একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশ বরেণ্য গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদীকে সাধারণত তেমন কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। যে অনুষ্ঠানে তার একান্তই উপস্থিত থাকাটা জরুরি সে অনুষ্ঠানেই তিনি উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেন। নতুবা তিনি বাসাতেই সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠে অনেক জনপ্রিয় গানই তার পরবর্তী কয়েকটি প্রজন্মের শিল্পীরা ঠিক তাকে অনুসরণ করে তার মতো করেই গাইবার চেষ্টা করেছেন।
এবারের ‘সেরাকন্ঠ ২০২৩’এর সেমি ফাইনাল রাউ-ণ্ড কুমিল্লার মেধাবী সঙ্গীতশিল্পী এইচ এম আলাউদ্দিন সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠের ‘কেন তারে আমি এতো ভালোবাসলাম’ গানটি গেয়েছেন। আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমায় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের লিপে যাওয়া জনপ্রিয় এই গানটিই সেমি ফাইনাল পর্বে আলাউদ্দিন গেয়েছেন। আলাউদ্দিনের গাওয়া এই গানটি প্রচারের পর থেকেই বেশ প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
প্রতিযোগিতার বিশেষ বিচারক কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা আলাউদ্দিনের গায়কীর ভীষণ প্রশংসা করেন। পাশাপাশি প্রধান বিচারক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সামিনা চৌধুরীও তার গায়কীর প্রশংসা করেন।
এরইমধ্যে সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের সহযোগিতায় গেলো রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সৈয়দ আব্দুল হাদীর বাসায় গিয়ে আলাউদ্দিন দেখা করেন। তার গাওয়া গানটি ভীষণ মনোযোগ দিয়ে শোনেন আব্দুল হাদী। গান শোনা শেষে আব্দুল হাদী অবগত হলেন যে এই গান রেকর্ডিং-এর সময় আলাউদ্দিন একটু অসুস্থ ছিলেন।
সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘তুমি অসুস্থ ছিলে, তারপরও তুমি খুউব ভালো গেয়েছো। বাংলা গানের ক্ষেত্রে শব্দের সঠিক উচ্চারণ অনেক বড় একটি বিষয়। যতোই সুরে গাওয়া হোক, যতোই শ্রুতি মধুর কন্ঠ হোক-উচ্চারণ যদি ঠিক না হয় তাহলে তা কোনোভাবেই পরিপূর্ণতা পায়না। তোমার গায়কী ভালোলেগেছে আমার এবং তোমার উচ্চারণও এক কথায় চমৎকার। আমার অনেক দোয়া রইলো। তুমি নিশ্চয়ই আগামীতে আরো ভালো করবে। আর অবশ্যই মোটরসাইকেল চালানো বাদ দিতে হবে, না হলে ঠাণ্ডা লেগেই থাকবে।’
আব্দুল হাদীর এমন কথায় ভীষণ আবেগী হয়ে উঠেন। বলেন, ‘স্যার চোখ বন্ধ করে আমার গান শুনেছেন, আমার কণ্ঠে তার গান ভালোলেগেছে বিধায় স্যার আমাকে আদর করে বুকে টেনে নিয়েছেন, এটাইতো এক জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি। স্যারের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :