দেশের নন্দিত একজন সংবাদ পাঠিকা নাজনীন আহমেদ। বিগত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে নাজনীন আহমেদ সংবাদ পাঠিকা হিসেবে বেশ গুরুত্বের সাথেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন সংবাদ পাঠিকা হিসেবে তিনি তারকাখ্যতিও অর্জন করেছেন। তবে নাজনীনের মূল পেশা শিক্ষকতা। তিনি রাজধানীর মাস্টারমাই- (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুলের রসায়ন বিভাগের (ও লেভেল, এ লেভেল) বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দীর্ঘ একুশ বছর ধরেই শিক্ষকতা করছেন।
জীবন চলার পথে একজন নারী হিসেবে সফল তিনি শিক্ষকতা করে এবং সংবাদ পাঠিকা হিসেবে। তবে এই মায়ের স্বপ্ন এখন তার সন্তান সামির মাহমুদকে ঘিরে। সামির মাহমুদ সেরাকণ্ঠ ২০২৩-এর ফাইনালে উঠে আসা একজন তরুণ মেধাবী সঙ্গীতশিল্পী। স্বর্গীয় ওস্তাদ সঞ্জীব দের কাছে সেই ছোট্টবেলা থেকে সামির সঞ্জীব দের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন টানা ১৪ বছর। তার মৃত্যুর পর মায়ের কাছে এবং বাবা কাজল মাহমুদের কাছেই এখন গানে তালিম নিয়ে থাকেন সামির।
সামিরের বাবা ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী। প্রায়ই গান করেন তিনি এসব মাধ্যমে। তবে মূলত তিনি ব্যবসায়ী।
‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’-এ সামিরের কণ্ঠ যেসব গানে শ্রোতা দর্শক মুগ্ধ হয়েছেন সেগুলো হচ্ছে ‘তোমার যাবার সময় বুঝি হয়ে যায়’, ‘তোমায় গান শোনাবো’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘ঢাকো যতোনা নয়নও দু’হাতে’, ‘একটু দাঁড়াবে কী’। প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠে আসা তেরো জনের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে সামির নিজে থাকার স্বপ্ন দেখছেন।
সামির বলেন, ‘আমার আব্বা এবং আম্মার পূর্ণ সমর্থন ছিলো বলেই আল্লাহ আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এটা সত্যি প্রতি পদে পদে আমি ভীষণ মিস করি ওস্তাদ সঞ্জীব দে-গুরুজি’কে। তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো বেশি খুশী হতেন। কারণ আমাকে নিয়ে তিনি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শ্রদ্ধেয় রুনা ম্যাম, বন্যা ম্যাম, সামিনা ম্যাম ও আমাদের প্রকল্প প্রধান, পরিচালক ইজাজ খান স্বপন স্যারের প্রতি। আর আমি একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে এবং যেহেতু আমি কম্পিউটার সায়েন্স-এ পড়াশুনা করছি-এটাকেও পেশাগতভাবে কাজে লাগাতে চাই। ’ নাজনীন আহমেদ বলেন,‘ সামিরকে ঘিরে আমার এবং আমাদের পরিবারের স্বপ্ন যেন পূরণ হয় এই দোয়া চাই সবার কাছে। সামিরের জন্য তার বাবাও অনেক কষ্ট করে সবসময়।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :