একজন ভার্সেটাইল অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ভিন্ন ঘরানার গল্পে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলোতে কাজ করতেই তিনি বেশী আগ্রহী। যে কারণে এই ধরনের গল্পে এবং চরিত্রেই কাজ করতে তাকে বেশি দেখা যায়। অবশ্য জ্যোতিও এসব কাজ ভীষণ ভালোলাগা ও আনন্দ নিয়ে করে থাকেন। ঠিক তেমনি একটি কাজ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একদিন ভাইরাল নমিতা পাল’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জ্যোতি।
যাতে দেখা যায় নমিতা পাল মফস্বলে সরকারী চাকুরী করেছেন দীর্ঘদিন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ঢাকায় আসেন। দেশের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় থাকা নমিতা পাল ঢাকায় আসার পর থেকেই তিনি নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। তার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজীব সালেহীন। যিনি সাম্প্রদায়িকতা ভয় পান বিধায় দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। কিন্তু তার স্ত্রী নমিতা পাল এই দেশ ছেড়ে যাবেন না। টানা ছয় বছর সরকারি যে অফিস থেকে একজন টেন্ডার পেয়ে আসছিলেন নমিতা তাকে অবৈধভাবে টাকা দিয়ে টেন্ডার নিতে দিবেন না। যে কারণে দুর্গা পুজার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলে সেই টেন্ডার না পাওয়া অসাধু ব্যক্তিটি তার গ্রামের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
নমিতার কণ্ঠে ভেসে আসে, ‘কোনো ধর্মই অন্য ধর্মের এতো বড় ক্ষতি সমর্থন করে না। যারা এসব কাজ করে তারা মানুষ না।’ আর এরইমধ্যদিয়ে শেষ হয় জ্যোতি অভিনীত এমন বাস্তবধর্মী একটি গল্পের কয়েক মিনিটের উপস্থাপন। এর গল্প রচনা করেছেন ও পরিচালনা করেছেন চৈতালী সমদ্দার।
জ্যোতি বলেন, ‘ শিল্পী হিসেবে আমি সামাজিক দায় এড়াতে পারিনা। আমার কাজের মাধ্যমে আমি আমার সামাজিক দায়িত্ব পালন করি। নমিতা পালের মতো একটি সাহসী চরিত্রে আমাকে ভাবার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ। মুলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতেই এই ছোট চলচ্চিত্র। সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে তরুন নির্মাতাদের মানসম্মত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে প্রজন্ম ওয়েভ। তাদেরকেও ধন্যবাদ। আর আমার সহশিল্পী অর্থাৎ আমার স্বামীর চরিত্রে রাজীব সালেহীনও অনবদ্য অভিনয় করেছে।’
এরইমধ্যে জ্যোতিকা জ্যোতি শেষ করেছেন সাজ্জাদ জহিরের নির্দেশনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নিশিবক’র কাজ। এটি সরকারী অনুদানে নির্মিত হয়েছে। গেলো আগস্টে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘বঙ্গমাতা’ চলচ্চিত্রটি। এতে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। শেষ করেছেন আউয়াল চৌধুরীর ‘আগুনের পাখি’ সিনেমার কাজ। জ্যোতি জানান, মুক্তির অপেক্ষায়য় আছে তার অভিনীত দু’টি সিনেমা। একটি ‘মানুষের বাগান’ অন্যটি ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’। দু’টোই তিনি গল্পের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :