টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হুমাইরা হিমু মারা গেছেন। তবে কিভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে তারকারাদের শোক বার্তায় ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) হুমায়রা হিমুর মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, প্রিয় হুমায়রা হিমু, ‘যদিও তোমার সাথে অনেকদিন কথা হয়নি, তাও এক বছর হলো। কিন্তু কাজটা তুমি একদম ভালো করোনি। ভীষন রাগ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যত যাই হোক, জীবন একটাই আর জীবন সুন্দর। বেঁচে থাকাটা অনেক আনন্দের। আসলেই তুমি একটা অন্যায় কাজ করেছ নিজের উপর। তুমি পরিবারের কথাও ভাবলে না?একা একা চলে গেলে?? নিজে নিজেই?? এটা কেন করলে?? তারপরও পরপারে ভালো থেকো এই প্রার্থনা সব সময়।’
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে অনেক ভক্তরা বলছেন, এটা রহস্যজনক মৃত্যু। ভক্তরা বলছেন হিমুর মৃত্যুর তদন্ত হওয়া দরকার।
তার প্রথম ছবি ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলেন। তিনি অনেকগুলি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন, যেমন: ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনেনা সে শোনেনা ইত্যাদি।
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমাইরা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :