এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ঝিলিক। গেলো ৪ নভেম্বর ছিলো তার জন্মদিন। তার আগে তিনি গেলো ৩০ অক্টোবর ময়মনসিংহে একটি স্টেজ শো’তে অংশ নেন। ঢাকায় ফেরার পর থেকেই তার জন্মদিনকে ঘিরে একের পর এক ছোট ছোট আনুষ্ঠানিকতা হতে থাকে। তার বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন, গানের ভুবনের আপনজনেরাই এই আয়োজন করে থাকেন।
গেলো ৬ নভেম্বর রাত পর্যন্ত তার জন্মদিনকে ঘিরে অনুষ্ঠান হয়। সবার ভালোবাসায় সিক্ত ঝিলিক। বিশেষত সেরাকণ্ঠ’তে চ্যাম্পিয়ন হবার পর থেকেই তার জন্মদিনকে ঘিরে বিশেষ এই আয়োজন হতেই থাকে। তার গানের প্রতি, তার গায়কীর প্রতি বিশেষত ব্যক্তি ঝিলিকের প্রতি সবার এই যে ভালোবাসা তা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে।
আজ থেকে পনেরো বছর আগে তার মাথায় বিজয় মুকুট পড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের গানের ভুবনের দুই জীবন্ত কিংবদন্তী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর ঝিলিক গানের ভুবনে একটু একটু করে নিজের চমৎকার অবস্থান সৃষ্টি করেন। আধুনিক গানে, সিনেমার গানে তিনি নিজের একটি আলাদা অবস্থান করারও চেষ্টা করছেন। ঝিলিকের মিষ্টি কণ্ঠ যারাই একবার শুনেছেন তারাই মুগ্ধ হয়েছেন।
ঝিলিক বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি যারা আমার জন্মদিনকে মনে রেখে আমাকে তাদের শুভেচ্ছায়, ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন। আমি অতি সাধারণ একজন শিল্পী। কিন্তু তারপরও সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পাই তা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। গত বছর রুনা লায়লা ম্যামের জন্মদিনে তার সামনে তার গাওয়া একটি গান গাইবার সুযোগ হয়েছিলো। তিনি আমার কন্ঠে তার গান পছন্দ করেছিলেন। এটা যে কতো বড় প্রাপ্তি ছিলো তা আসলে ভাষায় প্রকাশের নয়। আমি এভাবে আগামীদিনে আরো ভালোভাবে গান গেয়ে যেতে চাই। সবার দোয়া ও ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। আর আমার আব্বু আম্মুর জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন তারা সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন।’
এদিকে ঝিলিক জানান চলতি মাসেই আরো বেশ কয়েকটি শো রয়েছে তার। এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি নতুন মৌলিক গানও তার আসার কথা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি শওকত আলী ইমনের সুর সঙ্গীতেও গান গেয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :