একটা লম্বা সময় সুস্মিতা সেনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা রণদীপ হুদা। ‘রং রসিয়া’ ছবির সময় নাকি প্রেমে পড়েন নন্দনা সেনের। বার বার বাঙালি অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে রণদীপের। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন এ অভিনেতা। পাত্রী মণিপুরী মডেল ও অভিনেত্রী লিন লাইশরাম। খবর আনন্দবাজারের।
সম্প্রতি কারিনা কাপূর অভিনীত ‘জানে জা’ ছবিতে প্রেমার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। বছরের শেষেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তারা। মায়ানগরীর কোলাহল ছাড়িয়ে মণিপুরের পাহাড়েই বিয়ে করবেন তারা। তবে চমক রয়েছে, বিয়ের থিম নাকি মহাভারত।
গত বছর দীপাবলির সময় প্রথমবার বান্ধবী লিনের সঙ্গে সকলের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন রণদীপ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সম্পর্কটা। একেবারে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিতিতে নতুন জীবন শুরু করবেন তারা। বিয়েতে কোনও নামী পোশাকশিল্পীর তৈরি করা জামা নয়, বরং মণিপুরের সাবেকি পোশাকে সাজবেন বর-কনে। বিয়ের থিম মহাভারত থেকে অনুপ্রাণিত। কারণ, মহাভারতে পাণ্ডবদের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে অর্জুন মণিপুরের রাজকন্যা চিত্রঙ্গদাকে বিয়ে করতে যান। হরিয়ানার ছেলে রণদীপ, হবু স্ত্রী লিন মণিপুরী। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিন ও রণদীপের বিয়েতে থাকছে পৌরাণিক ছোঁয়া।
ঘনিষ্ঠেরা তাই রসিকতা করে বলছেন, থিম মহাভারত হতেই পারে, তবে কুখ্যাত কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের ছোঁয়া না থাকলেই হল। বিয়ে মণিপুরে হলেও মুম্বইতে একটা রিসেপশন পার্টি দেবেন অভিনেতা ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবদের জন্য।
মীরা নায়ার পরিচালিত ‘মনসুন ওয়েডিং’ ছবির মাধ্যমে ২০০১ সালে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন রণদীপ। প্রথম ছবিতেই তার কাজ প্রশংসিত হলেও দ্বিতীয় সুযোগ পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল রণদীপকে। রামগোপাল বর্মার ‘ডি’ ছবিতেও কাজ করেছেন রণদীপ। ইমতিয়াজ় আলির ‘হাইওয়ে’ তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। ওই ছবিতে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে উমঙ্গ কুমারের ‘সর্বজিৎ’ ছবিতে তার অভিনয় সাড়া জাগিয়েছিল দর্শকের মনে। পেশাগত জীবনে সাফল্য ও জনপ্রিয়তা অর্জন করার পরেও ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবর ক্যামেরা থেকে দূরেই রেখেছেন রণদীপ।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :