AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তিশা-মুশতাকের মতো হুমায়ূন-শাওনকে মেলা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়নি


Ekushey Sangbad
বিনোদন ডেস্ক
১১:৩৪ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
তিশা-মুশতাকের মতো হুমায়ূন-শাওনকে মেলা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়নি

চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। বইমেলার নবম দিনে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘তিশার ভালোবাসা’ বইয়ের লেখক মুশতাক আহমেদকে ও তার স্ত্রী তিশাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ ‘ছি ছি ছি ছি’ দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন মেলায় আসা শতাধিক দর্শনার্থী। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেন।

 

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। একদল মনে করছেন, মুশতাক-তিশার সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তারা প্রাপ্য ছিলেন। আবার একদলের মত, এমন এক ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না।

এদিকে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ নিজের ফেসবুকে তিশা-মুশতাক ইস্যুতে এক নেটিজেনের লেখা দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। ওই লেখায় মুশতাক-তিশাকে বের করের দেওয়ার সমালোচনার পাশাপাশি উদাহরণ টানা হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ এবং অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওনের। লেখকের মতে, হুমায়ুন-শাওনকে কখনও তিশা-মুশতাকের মতো হয়রানির শিকার হয়ে মেলা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়নি।

শুটিংয়ে এ কী করতেন হুমায়ূন আহমেদ | SHOOTING OF HUMAYUN AHMED - YouTube

শুরুতেই ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, বইমেলা থেকে মুশতাক-তিশা দম্পতিকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অসভ্য দর্শনার্থীরা এই কাজটা খারাপ করেছে। সেইসাথে মেলার নিরাপত্তায় নিয়োজিত লোকজন তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এরপর বলা হয়েছে,‘অসম বয়সী’ লেখক দম্পতি হিসেবে মুশতাক-তিশা বইমেলার প্রথম জুটি নয়। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ-মেহের আফরোজ শাওন ওই রেকর্ড অনেক আগে করে রেখেছেন। তিশা-মুশতাকের বয়সের গ্যাপ সম্ভবত ৪০। হুমায়ুন-শাওনের ২৫-৩০ হয়ে থাকতে পারে। ‘অসম বয়স’ বিষয়টা গোলমেলে। বয়সের গ্যাপ ঠিক কত হলে তাকে অসম বয়স বলা যেতে পারে আমার জানা নেই। পার্থক্য যদি কিছু থেকে থাকে, পাবলিকের ভাষ্যমতে, তা হচ্ছে হুমায়ূন ছিলেন শাওনের বাবার বয়সী। জনাব মুশতাক গ্র্যান্ডপা স্থানীয়। কিন্তু কথা সেটা নয়। হুমায়ুন-শাওনকে কখনও তিশা-মুশতাকের মতো হয়রানির শিকার হয়ে মেলা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়নি। হুমায়ূন লেখক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় এবং তখন ফেইসবুক-টিকটক না থাকায় হয়তো বেঁচে গেছেন।

অভিনেত্রীর শেয়ারকৃত ওই পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মুশতাক-তিশা বর্তমানে যথেষ্ট আলোচনায় আছেন। তারা ইতোমধ্যে হিরো আলম, জায়েদ খান, মাহফুজুর রহমান (ড. মাহফুজুর রহমান) লেবেলের খ্যাতি অর্জন করে ফেলেছেন। বইমেলা থেকে এরকম বের হতে হওয়ায় এখন জাতীয় পত্রিকার নিউজ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক নিউজ হবেন। আল জাজিরা, ব্রুট, গার্ডিয়ানে তাদেরকে পাওয়া যাবে। দেশের বই, বইমেলা ও লেখকদের নিয়ে সম্ভবত একমাত্র নিউজটি হবে ওদেরকে নিয়ে। অথচ আন্তর্জাতিক মিডিয়া জানবে না প্রতিবছরই কিছু না কিছু ভালো বই বাংলাদেশ বের করে। যেমন ইউরোপ-আমেরিকার লোকজন জানেই না বাংলাদেশ নামক একটা দেশকে ২৩ বছরের আন্দোলন শেষে ৯ মাসের একটা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়। শেষে ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেতে হয়।

প্রশ্ন তুলে সেখানে লেখা হয়েছে, তিশা-মুশতাকের অপরাধটা আসলে কোথায়? বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরের একটি মেয়ে বিয়ে করতে পারবে। আইনের কোথাও বলা হয়নি ৪০ বছরের গ্যাপ থাকলে কাউকে বিয়ে করা যাবে না। তিশা ‘সুগার ড্যাডি’ বা ‘গোল্ড ডিগার’ বিয়ে করল কেন, তাদের বয়সের গ্যাপ এত কেন হবে এসব নিয়ে জাজমেন্টাল হওয়ার রাইট আমাদের থাকতে পারে, থাকা উচিৎ? নাকি আমাদের গাত্রদাহের কারণ ওরা কেনো এরকম অসম সম্পর্কের পর প্রকাশ্য হবে, ফেসবুকে লাইভ করবে, হাত ধরে বইমেলায় যাবে, নিজেদের লেখা বইয়ের প্রচার করবে স্টলে দাঁড়িয়ে?

থানায় জিডি করলেন মুশতাক-তিশা, তদন্ত করছে পুলিশ

এ তারকা শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়েছে, সমাজ নির্ধারিত নৈতিকতা, প্রথা, অনুশাসন না মানলে তাদেরকে আমরা একঘরে ও অস্পৃশ্য করে দেব? মানে বিষয়টা কি এমন যে ‘এ রকম অসম’ সম্পর্ক করেছ তাই তোমাদেরকে লুকিয়ে থাকতে হবে, প্রকাশ্য হওয়া যাবে না, তোমাদের ভালো থাকার, সুখে থাকার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। তোমরা বই লিখতে পারবে না, লিখলেও বইয়ের প্রচারণা করতে বইমেলায় আসতে পারবে না। এত এত ‘না’ আরোপ করার তুমি কে হে ‘আদম-হাওয়ার’ পুত্র-কন্যারা? ওদের বই পড়তে ইচ্ছা না হলে পড়ার দরকার নেই। ওদের স্টলের সামনে লাইন ধরে দাঁড়ানোর দরকার নেই। ওরা কী ছবি-ভিডিও আপলোড দিলো দেখার দরকার নেই। লাইভে এসে কী ঘোড়ার ডিম বলল জানার দরকার নেই।

সবশেষে লেখা, দেশের নাগরিক হিসেবে ওদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা বই লেখার সাংবিধানিক অধিকার আছে, সেই বইয়ের প্রচার-প্রচারণা করার অধিকারও আইন সম্মত। ঠিক তেমনই ওই বইয়ের সমালোচনা করা, কিংবা ওই বই কিনে মেলার মাঠে ছিড়ে ফেললেও সমস্যা নেই। কিন্তু যেটা আমরা করতে পারি না তা হচ্ছে ওদেকে হেনস্থা-অপদস্ত করে মেলা থেকে বের করে দেওয়া কিংবা বের করে দিতে সহযোগিতা করা। এই কাজটা অপরাধমূলক। আইনের শাসন ঠিকঠাকভাবে চললে যারা এই কাজে সংঘবদ্ধ হয়েছিল তাদের প্রত্যকের শাস্তি হওয়ার কথা। আমি এইসব রাস্কেলদের শাস্তি চাই।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

 

একুশে  সংবাদ/এনএস

Link copied!