আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্যানেল গঠন নিয়ে এখন বেশ তোড়জোর চলছে।
ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তার প্যানেলের সভাপতি চূড়ান্ত করা হয়েছে মিশা সওদাগরকে।
যদিও ডিপজল আগে সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন, তবে তিনি এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।
সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে ডিপজল বলেন, মিশা সওদাগর পরপর দুইবার সভাপতি ছিলেন। ওই কমিটিতে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলাম। এবার সভাপতি নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। মিশা নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমি তাকে স্বাগত জানাই। নিজেই তাকে সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য বলি। আমাদের মধ্যে সবসময়ই একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। এখানে কে সভাপতি, আর কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবে, এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই। একজন করলেই হলো। এটা আমরা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করেছি। আমি মনে করি, মিশা এ পদে যোগ্য। এর আগে আমি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। তাই এই পদে আবারও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডিপজল বলেন, এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য, শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করা। পদে না থেকেও মনমানসিকতা থাকলে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো যায়। তবে সমিতির মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে, তা সবার উপকার হয়। যতদিন বেঁচে আছি, সবসময়ই শিল্পীদের পাশে আছি এবং থাকব। সমিতিকে আমার পরিবার মনে করি। এর প্রত্যেক সদস্য আমার পরিবারের অংশ। তাদের সমস্যা সমাধানে যে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন, তা আমাদের প্যানেল ভালোভাবে করতে পারবে বলে আমি মনে করি।
ডিপজল বলেন, আমাদের প্যানেলে যারা থাকছেন, তারা প্রত্যেকেই যোগ্যতা সম্পন্ন। কাজের লোক। শিল্পীরা উপকৃত হবে। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করব। এতে চমক থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য, সমিতিকে শিল্পীদের সুখে-দুঃখে এবং তাদের স্বার্থে কাজে লাগানো। এছাড়া কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে সিনেমার সংখ্যা বাড়িয়ে বেকার শিল্পীদের ব্যস্ত করে তোলা যায়, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেব। এফডিসি যাতে আবার জমজমাট হয়ে উঠে, চাঙা হয়ে উঠে সেই পদক্ষেপ নেব। যারা সিনেমা বানায় কিংবা সিনেমা বানানো বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের সিনেমা বানাতে উৎসাহিত করব।
এই অভিনেতা-প্রযোজক আরও বলেন, আমি নিজে একের পর এক সিনেমা বানাচ্ছি। আরও পাঁচজন যদি সিনেমা নির্মাণ শুরু করে, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি চাঙা হয়ে উঠবে। শিল্পীরাও কাজ পাবে। আমাদের লক্ষ্য চলচ্চিত্রে শিল্পী সমিতিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা। শিল্পীদের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলা। আমরা বড় বড় কথার চেয়ে, কাজে বিশ্বাসী। কাজ দিয়ে শিল্পীদের কল্যাণ করব। সব ভেদাভেদ দূর করে, সবার মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করব।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :