বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন এই নায়ক। মৃত্যুর এত বছর পরও মান্নার জনপ্রিয়তা অমলিন। এখনো টিভি খুললেই প্রায়ই চোখে পড়বে মান্না অভিনীত সিনেমাগুলো।
২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন মান্না। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও জমা ছিলো তার প্রাপ্তির ঝুলিতে। তবে সবচাইতে বড় যে পুরস্কার মান্না পেয়েছিলেন তা হলো সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। তার অনুপস্থিতি দর্শক হৃদয়ে আজও কষ্টের দাগ কেটে যায়।
মান্না নামে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম এস এম আসলাম তালুকদার। ১৯৬৪ সালে টাংগাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ প্রতিবাদী নায়ক। ১৯৮৪ সালে শুরু হয় তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার। এরপর এ অঙ্গনের নিবেদিত এক শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
নায়ক মান্না তার জীবদ্দশায় দুইশ`র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজানসহ আরো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল সিনেমার অন্যতম।
তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে আরো উল্লেখযোগ্য আছে, ত্রাস,আব্বাজান, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই, পিতা মাতার আমানত, তওবা, পাগলী, চাঁদাবাজ, তেজী, মিনিস্টার, ডিস্কো ড্যান্সার, খল নায়ক, রংবাজ বাদশা, বসিরা, ঢাকাইয়া মাস্তান, মেজর সাহেব, বাবা, কিলার, জনতার বাদশা, রাজপথের রাজা, টোকাই রংবাজ এবং আরো অনেক।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :