চট্টগ্রামের মেয়ে কাজী মিথিলা মুন। একাধারে তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল, অভিনেত্রী এবং করপোরেট পারসোনালিটি। ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়েছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার সুবাদে জড়িয়েছেন মডেলিংয়ের সঙ্গে। বর্তমানে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় পথচলা শুরু এ তরুণীর। পোশাক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালো লাগে তার। জানিয়েছেন কাজী মিথিলা মুন নিজেই।
তার ভাষায়, শুরুটা মডেলিং দিয়ে। আমি যে কোম্পানিতে ছিলাম সেখান থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমরা ফ্যাশন শো করতাম, তখন আমার মনে হলো আমার ডিজাইন করার ড্রেস অন্য মডেলরা পরে হাঁটছে, আমি কেন নয়। এভাবেই শুরু।
মিথিলা শুধুমাত্র ফ্যাশন ডিজাইনার বা মডেল হিসেবেই নিজেকে থামিয়ে রাখেননি।মডেলিং থেকে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান এই সুন্দরী। আর অভিনয়ে সুযোগ পেয়ে তা কাজেও লাগিয়েছে তার অনন্য প্রতিভার।
এরই মধ্যে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি নাটকে। যুক্ত আছেন একাধিক ধারাবাহিক নাটকেও।সম্প্রতি শুটিং করেছেন ‘বোকা প্রেম’ নাটকে। ধারাবাহিকটিতে তাকে খুশবু পালোয়ান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। নাটকটি প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার বৈশাখী টেলিভিশনে রাত ৯.২০ মিনিটে প্রচার হবে।
নাটকে কাজ করা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে একুশেসংবাদ.কমকে মিথিলা বলেন, গত বছর রমজান ঈদে আমি ঈদের নাটক করেছিলাম। এরপর আমি আর মাঝে এক বছর কোন কাজ করি নাই। এটা আমার সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ভাইয়ের সাথে প্রথম কাজ, ভাইয়ার সাথে কাজ করতে পেরে আমি অনেক হ্যাপি। ওনার ব্যবহার খুবই ভালো, ভাইয়ার পুরো টিম অসম্ভব রকম সাপোর্টিব।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার আমি চাকরির পাশাপাশি মিডিয়াতে কাজ করি , আমার কাছে কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটি মোস্ট ইমপর্ট্যান্ট। তাই এক বছর অনেক কাজের অফার আসলেও আমার কাজ করা হয়নি। বাট দোদুল ভাইয়ের কাজের অফার পেয়ে আমি না করতে পারিনি, আমি ওনার কাজ করতে গিয়ে আমার অসম্ভব রকম ভালো লেগেছে।
সেই সাথে সোহেল আরমানের সাথে ২টা নাটকের কাজ নিয়ে কথা চলছে বলেও জানান এই সুন্দরী।
মিডিয়াতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান বলা হলে মিথিলা বলেন, ভালো কাজ দিয়ে দর্শকদের মনের ভিতর জায়গা করে নিতে চাই।
এরই মধ্যে আর্ন্তজাতিক কয়েকটি ফ্যাশন শোতেও অংশ নিয়েছেন কাজী মিথিলা মুন। যেগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে মুম্বাই ও কলকাতায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে উপস্থাপন করা গর্বের বলেই মনে করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :