হিমাগারে পাটাতনে বেরিয়ে আছে শবনম বুবলীর লাশ, আর সেদিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে বসে আছেন শরিফুল রাজ! এমনই করুণ দৃশ্য দেখা যায় ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার ফার্স্ট লুকে, যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন দর্শক। এরপর ৫৬ সেকেন্ডের টিজার করে বাজিমাত করেন তরুণ নির্মাতা মিশুক মনি।
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে মুক্তি পেয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার প্রথম গান।
এর আগে ২৩ মার্চ মুক্তি পায় ৫৬ সেকেন্ডের টিজার। যা মুক্তির পরেই আলোচনায় আসে। চিত্রায়ণ, গল্পের রহস্যময় প্লট, রাজ-বুবলীর সাদামাটা সাজ, অভিনয়, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সবকিছুই রহস্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। টিজারটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। গানেও এর ব্যতিক্রম হলো না।
৩ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের গানটির শিরোনাম ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’। রোহিত সাধু খাঁনের অপূর্ব কথামালায় গানের সুর-সংগীত সাজিয়েছেন ইমন চৌধুরী। গানটি গেয়েছেন মাহতিম সাকিব ও অবন্তী সিঁথি। আর এ গানের চিত্রে পর্দায় উঠে এসেছে রাজ-বুবলীর প্রেম রসায়ন।
গানের দৃশ্যে কখনো রাজ-বুবলীকে সড়কে, কখনো বাসে, কখনো রেঁস্তারা কিংবা নদীর ধারে প্রেমের গল্প রচনা করতে দেখা যায়। কিন্তু সেই প্রেম পর্বে বড় ধাক্কা হয়ে আসে বুবলীর অসুস্থতা ও মৃত্যুতে। এর পেছনের পুরো গল্প জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত।
ঈদুল ফিতরে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমাটি। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবি এটি। তরুণ নির্মাতা মিশুক মনি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনি এবং চিত্রনাট্যও লিখেছেন।
সিনেমাটির প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, অনুদানের সিনেমা নিয়ে এক ধরনের গৎবাঁধা চিন্তা আছে, সেসবের বাইরে দুর্দান্ত গল্প বলার চেষ্টা আমরা করেছি ‘দেয়ালের দেশ’ চলচ্চিত্রে। আশা করি, একটা ভালো টিমওয়ার্কের ছাপ পুরো ছবিতে দেখতে পাবেন দর্শকরা।
বুবলী বলেন, আমার জন্য এ সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল। কারণ, এ সিনেমায় আমাকে নায়িকা নয় চরিত্র হয়ে উঠতে হয়েছিল। পর্দায় চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলারও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এক্ষেত্রে পরিচালক এবং সহশিল্পীরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আশা করছি, অনুদানের সিনেমা নিয়ে যে ট্যাবু সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ভেঙে দেবে দেয়ালের দেশ।
সিনেমাটি নিয়ে একরাশ মুগ্ধতা প্রকাশ করে রাজ বলেন, “পেশাগত কারণে অনেক স্ক্রিপ্টই পড়ি, তবে `দেয়ালের দেশ`-এর স্ক্রিপ্ট এত স্পষ্ট ও সুন্দর যে আমি এর অংশ হতে বাধ্য হয়েছি। পর্দায় চরিত্রের সুন্দর কেমিস্ট্রি ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি, বুবলীসহ টিমের সবাই মিলে শুটিংয়ে যাওয়ার আগে রিহার্সেল করেছি। চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চুল, দাড়ি বড় করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা ওজনও আমাকে কমাতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের এই চেষ্টার ফসল দর্শকের জন্য উপভোগ্য হবে।”
ছবিটিতে রাজ-বুবলী ছাড়াও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুক, স্বাগতা প্রমুখ। এটি নির্মিত হয়েছে মেট্রো সিনেমার ব্যানারে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :