রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্রসংগীতের একজন নিবেদিত অনুশীলনকারী। তিনি মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ‘বৈষ্ণব জান তো’ গেয়েছিলেন।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।
এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সংগীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :