গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন করে দেশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতি অঙ্গনে এসেছে তিনটি প্রজ্ঞাপন। এরমধ্যে দুটিতেই সদস্য হিসেবে আছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। চলচ্চিত্রের বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সরের সদ্য গঠিত বোর্ডের সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে তাকে।
অনেকেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রকাশ করেছেন স্বস্তিও। কারণ, তিনি বিগত সরকারের আমলে তুমুল নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তার-রিমান্ডসহ খেটেছেন জেল।
সয়েছেন নির্যাতন। হারিয়েছেন কাজ। এমনকি ঠকেছেন শিল্পমাধ্যম থেকেও।একইদিনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দায়িত্ব পাওয়ায় উচ্ছ্বাসিত নওশাবা।সঙ্গে অভিজ্ঞ অন্য সদস্যদের সঙ্গে কাজটা ঠিকঠাক করে যেতে পাওয়ার প্রত্যয় এই অভিনেত্রীর।
‘এটা অনেক বড় দায়িত্ব। এক দিনে দুটি দায়িত্ব পাওয়ার খবর পেয়েছি। আমার বাবা বলতেন, ‘তুমি যেমন মানুষ, তেমনই সন্মানটাও পাবে।’ মনে হচ্ছে বাবার কথাটাই সত্যি হয়েছে।
আমি কোনো দলেরও লোক নই। কোনো দলে হয়ে দায়িত্ব পাইনি। সুতরাং সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকঠাক কাজটা করে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বটা হলো ভাবার বিষয়। সেভাবেই ভেবে এগিয়ে যাবো। আমি গত কয়েক বছরে খুব একটা কাজ করিনি। কিন্তু বসে থাকিনি। আদিবাসি, স্পেশাল শিশুসহ অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছি। সেই জায়গা থেকে নতুন দায়িত্ব পালন আমার জন্য হয়তো কঠিন। এই জায়গায় আমি একেবারে নবজাতক। বাকি যারা আছেন তাদের কাছ থেকে শুনবো ও শিখবো। আসলে দেশ সস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে যদি আমি এক বিন্দুও দিতে পারি। সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি।’
বিগত সরকারের রোষানলের কারণে এই দায়িত্ব নাকি যোগ্যতায় পেয়েছেন এমন প্রশ্নে নওশাবা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনো ভাবছি। আসলে আমি পুরো কাজটা নিয়ে প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে চাই। সেটা সময় বলে দেবে।’
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :