গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। বাদ যায়নি তারকা শিল্পীরাও। মামলার আসামিরা অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত আছেন। কেউ কেউ আবার রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকারও করেছেন। এসব মামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে অন্যতম চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে তার নামে।
জায়েদ খানের নামে মামলার ঘটনা নিয়ে ওই সময় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নাম অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুলের কাছে এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়―আগের আমলের মতো এবারও অদ্ভুত সব গায়েবি মামলা হচ্ছে কিনা? জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, সবার নাম নিয়ে তো বলা সম্ভব নয়, তবে এখন দু’জনের নাম মনে আছে; সাকিব আল হাসান ও জায়েদ খান।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, মামলা করা সবার নাগরিক অধিকার। সবই (মামলা) কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে হয়েছে। এসব পুলিশ করলে তবে তা রাষ্ট্রীয় হতো। উনাদের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে? গ্রেপ্তার হয়নি। এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার নয়। পুলিশ ক্রেডিবল কিছু না পেলে গ্রেপ্তার করবে না, এটা নিশ্চিত। আসলে যারা মামলা করতে আসে, এত প্রেশার থাকে, তা বলার মতো নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম। মামলায় জায়েদ খান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে।
একুশে সংবাদ/চে.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :