চল্লিশের কোঠা পেরোলেও তারুণ্য ধরে রেখেছেন লাক্স সুপারস্টার অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। বয়সের ছাপ না পড়ার রহস্য কী? কেমন লাইফস্টাইল অনুসরণ করেন তিনি? পাঠকদের জন্য রইল তার ফিটনেস ও সৌন্দর্য ধরে রাখার কিছু বিশেষ টিপস।
২০০২ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক চ্যাম্পিয়ন হন কুসুম শিকদার। এরপর আর শোবিজ দুনিয়ায় পেছনে ফিরে তাকে হয়নি তাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা পরিচালনা ও প্রযোজনার কাজও চালান কুসুম।
ব্যস্ততা আর বয়স কখনও অভিনেত্রীর রূপ লাবণ্যে বাধা হতে পারেনি। এর কারণ হলো তার ডায়েট লিস্ট। ফিটনেস ধরে রাখতে কঠোর ডায়েট লিস্ট ফলো করেন তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কুসুম বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কঠোর শরীরচর্চা ও নিয়ম মেনে জীবনযাপন করি। ২০০০ সাল থেকে ভাত খাওয়া বন্ধ করি। এরপর গত ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংসও খাই না।
কুসুম আরও বলেন, যখন ভাত খেতাম না, মাছ-মাংস খেতাম। কিন্তু এখন কম পরিমাণে ভাত খাই। তবে মাছ-মাংস খাই না। প্রায় সব ধরনের শাকসবজি খাই। বলতে পারেন, গত ১৩ বছরে আমি পুরোপুরি ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেছি।
সুস্থতা প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ফিট থাকার চেয়েও আমার কাছে সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, বয়স বাড়ার সাথে সাথে রেড মিট এড়িয়ে চলা ভালো। আমি রেড মিট একদম ছুঁই না। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ ভালো থাকি।
তাহলে ডায়েট লিস্টে কী আছে অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাইলে লাক্স সুন্দরী বলেন, অ্যালার্জির কারণে বেগুন ও পুঁইশাক ডায়েট লিস্টে নেই। আমি কম পরিমাণে ভাত ও সবজি বেশি খাই। দুধ, ডিম, ঘি, মাখন, রুটি প্রতিদিনের ডায়েট লিস্টে থাকে।
মানসিক শান্তি, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ও ভালো বই পড়ার অভ্যাসও সৌন্দর্য ধরে রাখার মূল চাবিকাঠি বলে মনে করেন কুসুম শিকদার।
একুশে সংবাদ/স.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :