দক্ষিণ কোরিয়ার সংগীতশিল্পী হুইসুংকে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ মার্চ) গায়ককে অচেতন অবস্থায় দেখার পর জরুরি পরিষেবাকে বিষয়টি জানায় তার মা। সংস্থার সদস্যরা এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং জানায়, আগেই মারা গেছেন হুইসুং। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর।
গায়ক হুইসুং খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন―তা নিশ্চত হওয়া যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মরদেহে কোনো ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
হুইসুং, যার প্রকৃত নাম চোই হুই-সাং। ২০০২ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে ডেবিউ হয় তার। প্রাণবন্ত কণ্ঠের মাধ্যমে অল্প সময়ের মাধ্যমে শ্রোতামহলে খ্যাতি তৈরি করেন। ওই সময়কালে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের তালিকায় জায়গা করে নেয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার আরঅ্যান্ডবি সংগীত গ্রুপকেও জনপ্রিয় করে তোলার কৃতিত্ব লাভ করেন।
দীর্ঘ সময়ে হুইসুং নিজেকে একজন কে-পপ তারকা সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি তারকাদের পরামর্শদাতা হিসেবেও তৈরি করেছেন। অনেক তারকাদের জন্য গানও লিখেছেন। হলিউডসহ বিশ্বজুড়ে অনেক গায়কের সঙ্গে কে-পপ কনসার্টে পারফর্মও করেছেন এ গায়ক।
হুইসুং তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একাধিকবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। ২০২১ সালে শক্তিশালী চেতনানাশক প্রোপোফল অপব্যবহারের জন্য তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলেরে মাঝামাঝিতে দু’বার অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। ওই সময় প্রোপোফলের মতো ঘুমের ওষুধ ইটোমিডেটযুক্ত ইনজেকশন ও শিশি পাওয়া গিয়েছিল।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :