প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার যেমন শেষ নেই, তেমনিভাবে প্রচার-প্রচারণা ও গবেষণার অন্ত নেই। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণের জন্য যেসব উপাদানকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়, তার মধ্যে পলিথিন অন্যতম। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পলিথিন চরম হুমকি ও বিরাট চ্যালেঞ্জ। নিষিদ্ধ পলিথিনের সর্বব্যাপ্ত ব্যবহারে বিপন্ন হয়ে পড়েছে দেশের প্রকৃতি পরিবেশ ও প্রতিবেশ। হাটবাজারগুলো সয়লাব হয়ে আছে পলিথিনের শপিং ব্যাগে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও কেনাবেচা চলছে অবাধে। পলিথিন মূলত পলিমারজাতীয় এক ধরনের প্লাস্টিক যা মাটির মধ্যে শত শত বছরেও পচে না। এটি জমির গুণগত মান নষ্ট করে দেয় এবং মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়। পলিথিনের কারণে মাটি তার স্বাভাবিক পানি শোষণ ক্ষমতা হারায়, ফলে জমিতে পানি জমে থাকে এবং ফসলের ক্ষতি হয়।এসব পলিথিন মাটিতে পচে না,কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে ফলন কমে যায়। বাজারে মুদি দোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিম, তরকারি, ফল, মিষ্টিসহ যে কোনো বিক্রীত পণ্য ভরে দেওয়া হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগে।
এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ক্ষতি হচ্ছে কৃষিজমির। কমে যাচ্ছে মিঠা পানির মাছের উৎপাদন। হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য।পলিথিন জ্বালিয়ে ফেলা হলে বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এই গ্যাসগুলো পরিবেশের ক্ষতি করে এবং মানুষের শ্বাসযন্ত্রের রোগসহ নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ডাইঅক্সিন ও ফিউরানের মতো ক্ষতিকর পদার্থগুলো ফুসফুসের রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিদিন কোটি কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়া হয়।পলিথিনের ক্ষুদ্র কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাবার ও পানিতে মিশে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে,এই মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া, পলিথিনের সঙ্গে যুক্ত রাসায়নিক পদার্থগুলো শরীরের হরমোনের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।এসব পলিথিন ব্যাগের একটা বড় অংশ নদীতে গিয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের নদীগুলোর তলদেশে পলিথিনের পুরু স্তর জমেছে।
এমনিতেই দেশের প্রায় সব নদনদীতে পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। পলিথিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় সিটি করপোরেশন, জেলা শহর, পৌরসভা ও উপজেলা শহর এলাকায়। ফলে শহর এলাকার নদনদীগুলোই পলিথিন দূষণের শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, বংশী, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী; বরিশালের কীর্তনখোলা; চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর তলদেশে পলিথিনের পুরু স্তর পড়েছে। ফলে নদীর দূষণ তো বটেই, জীববৈচিত্র্যও ধ্বংস হচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণে মাছের জীবনচক্র হুমকির মুখে পড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে বৃষ্টি শেষে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার বড় কারণ এ পলিথিন।ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে পলিথিনের কারণে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোয় মূলত টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না-ওঠা এর জন্য দায়ী। ফলে মাটি, পরিবেশ বিপন্ন হয়ে আমাদের খাবারে ঢুকে পড়েছে প্লাস্টিক, পলিথিন। গরিবের সাশ্রয়ী খাবার লালশাকেও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামসহ বেশ কয়েকটি ভারী ধাতুর উচ্চ মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে দেশের বাজারগুলো সয়লাব হয়ে আছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে। পলিথিন মাটিতে পচে না, এতে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে ফলন কমে যাচ্ছে। বাজারে মুদি দোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিম, তরকারি, ফল, মিষ্টিসহ যে কোনো বিক্রীত পণ্য ভরে দেওয়া হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগে। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ক্ষতি হচ্ছে কৃষিজমির। পরিবেশ সংরক্ষণে ২২ বছর আগে ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার।
এ ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিনে তৈরি সব ধরনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি,বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুত-বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ব্যত্যয় হলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ এ আইন লঙ্ঘন করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজারগুলোয় অবলীলায় বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে অবৈধ পলিথিন তৈরির কারখানা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার। এর মধ্যে পুরান ঢাকা এবং বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে রয়েছে ৭ শতাধিক কারখানা। এসব কারখানায় দৈনিক ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে। পলিথিন মাটিতে মিশে যেতে লাগে ২০০ থেকে ৪০০ বছর। প্লাস্টিক পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ক্যারিব্যাগ বা পলিব্যাগ। হিসাবমতে, গড়ে জনপ্রতি বছরে ব্যাগ বানানো হচ্ছে ৭০০টি এবং একটি ব্যাগ গড়ে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট ব্যবহারের পরই প্রকৃতিতে স্থান নেয়। বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) হিসাব অনুযায়ী, শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি পলিথিন ব্যাগ জমা হয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পলিথিনের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় ইথিন থেকে প্রাপ্ত পলিমারকে পলিথিন বলে। পরিবেশদূষণ, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য পলিথিন মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আমাদের দেশে আশির দশকে পলিথিনের ব্যবহার শুরু হলেও পলিথিনের সহজলভ্যতাই এর ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ব্যাগ হাতে বাজারে যাওয়া যেন অসহনীয় তার চেয়ে ১০/১৫টি চকচকে পলিভর্তি বাজার নিয়ে ঘরে ফেরা বেশ আরামদায়ক। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণের কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার। পরিবেশবিদদের মতে, পলিথিন তৈরিতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশ সুরক্ষায় মোটেও উপযোগী নয়। পলিথিন এমন একটি পণ্য, যা মাটির সঙ্গে মিশতে আনুমানিক দেড় হাজার বছর সময় লাগে। পলিথিনের অবাধ ব?্যবহার বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। পলিথিন অপচনশীল পদার্থ হওয়ায় এর পরিত্যক্ত অংশ মাটির অভ্যন্তরে ঢুকে মাটির উর্বরতা হ্রাস ও মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
পলিথিন শুধু মাটির গুণাগুণ নষ্ট করছে তা-ই নয় বরং বিপন্ন করে তুলছে আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশকেও।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবেশবিরোধী প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যবহার কমিয়ে আনতে মাঠ পর্যায়ে কঠোর মনিটরিং, সমন্বিত তৎপরতা এবং ব্যাপক জনসচেতনতা দরকার। পাশাপাশি দ্রুতপচনশীল কাগজের ঠোঙা, কাগজ ও চটের ব্যাগের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহার বন্ধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১ অক্টোবর থেকে সুপার শপে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইভাবে ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বাজারে পলিথিনের ব্যবহার। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বাজার থেকে তুলে দিতে হলে বিকল্প উৎসগুলো সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পলিথিননির্ভরতার বড় কারণ তা সাশ্রয়ী, সহজলভ্য। এ সহজলভ্যতা রোধ করতে হলে পলিথিন উৎপাদন কারখানাগুলো বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ঋণের মাধ্যমে স্বল্পপুঁজির ছোট ছোট ব্যাগ উদ্যোক্তা গড়ে তোলায় উদ্যোগ নিতে হবে। সাধারণত পলিথিনের উৎপাদন কারখানায় কোটি কোটি টাকার পুঁজি, কিন্তু জনবল কম। ব্যাগ তৈরির ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি হলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এর মধ্য দিয়ে কাগজের ব্যাগ, চটের ব্যাগ কম মূল্যে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাগজ ও চটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এর জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে মনোযোগ দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করা যায়। বাজারে পলিথিনের জোগান বন্ধ হলে এবং কাগজ ও চটের ব্যাগের চাহিদা বাড়লে অনেকেই উদ্যোক্তা হতে এগিয়ে আসবেন। বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজধানীর ৬৪ শতাংশ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। তার মধ্যে শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটিরও বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। অপচনশীল ও সর্বনাশা পলিথিনের এমন যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে বিশেষ করে বর্ষাকালে নগর-মহানগরে পয়োনিষ্কাশনের ড্রেন, নালা, নর্দমা, খাল, বিল ও নদীগুলো ভরাট হচ্ছে আর দূষিত হচ্ছে পানি। পলিথিন নদী ও সাগরের তলদেশে জমা হয়ে জীববৈচিত্র্য ও সামুদ্রিক জীবের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মাছ-মাংস পলিথিনে প্যাকিং করলে অবায়বীয় ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে রেডিয়েশন তৈরি হয়ে খাবার বিষাক্ত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন থেকে নির্গত হয় বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর।চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, পলিথিন ব্যাগ অবাধ ব্যবহারের ফলে চর্মরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুজনিত রোগ ও ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের সংক্রমণ হতে পারে।পৃথিবীব্যাপী পলিথিন মহামারির চিন্তা থেকেই বাংলাদেশ সরকার প্রথম বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালের ১ মার্চ আইন করে পলিথিন ব্যবহার, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারাটি সংযোজন করা হয়। আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি নিষিদ্ধ পলিথিন সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি বা বাজারজাত করে, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা এমনকি উভয় দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত ২০ বছরে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার কমেনি এতটুকুও।
সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী আরো অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে, রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ৩৪৭টি কারখানায় এ নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি হচ্ছে। এগুলোর সিংহভাগই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, অনেক দেশে তা ১০ মাসেও হয় না। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার দ্বিতীয় বারের মতো ১৭টি পণ্যের মোড়কে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন। এর পরেও বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে পলিথিনবিরোধী অভিযান ও নিষিদ্ধ পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিপুল পরিমাণ পলিথিন জব্দ করেন। পরিবেশ বিপন্নকারী সর্বনাশা পলিথিন ব্যবহার নিরসনকল্পে পলিথিনের ব্যবহার সীমিতকরণ, বিকল্প পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি পলিথিনের ক্ষতিকর দিক থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :