এক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জলাশয়ে প্রচুর সংখ্যায় জলচর পাখি দেখা যেত। এসব জলচর পাখিদের বিচরণে মুখরিত হত বাংলার চারপাশ। তবে নানাবিধ কারণে পাখির সংখ্যা ব্যাপকহারে কমে যাচ্ছে। অসংখ্য ছোট-বড় নদী ও উপনদী আমাদের দেশের চারপাশে ছড়িয়ে সৃষ্টি করেছে অসংখ্য জলাশয়। এসব জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যের যোগান থাকায় বাংলাদেশ জলচর পাখির অন্যতম আবাসস্থল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের অনেক জলাশয় ভরাট হয়ে সংকুচিত হয়ে গেছে তাদের আবাসভূমি । বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য অধিকহারে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্নভাবে দূষিত করা হচ্ছে জলজ পরিবেশ। ফলে খাদ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের অভাব বিপন্ন হয়ে পড়েছে জলচর পাখির বেশ কিছু প্রজাতি।
চামচঠুঁটো বাটান, ইন্ডিয়ান স্কিমার, প্যারাপাখি এদের মধ্যে অন্যতম। যেকোনো সময় এরা আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হতে পারে।
একসময় মদনটাক ও শামুকখোল প্রচুর সংখ্যায় দেখা গেলেও উঁচু গাছ কমে যাওয়ায় এরা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বাটান, জিরিয়া, জৌরালী, গুলিন্দা, কাস্তেচরা প্রভৃতি সৈকতের পাখিরা সাধারণত উপকূলীয় কাদাময় চরাঞ্চলে বিচরণ করে।মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক কারণে এদেরকে আগের মতো দেখা যায় না। কমে যাচ্ছে জলাভূমি নির্ভর বুনোহাঁসের সংখ্যা। দলপিপি, নেউপিপি ও ডাহুক পাখিদের জীবনও এখন বিপন্ন।বিপন্ন এই জলচর পাখিরা ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড়, অসুস্থ এবং দুর্বল মাছ খেয়ে জলজ প্রতিবেশব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাটির উর্বলতা বৃদ্ধিতেও এদের ভূমিকা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :