বন্যরা বনে, সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। বন মোরগ, বনেই থাকার কথা। কিন্তু শিকারির উৎপাতে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বন মোরগ। দেখতে দেশীজাতের মোরগের মত হলেও ওজন ও আকারে অনেকটা ছোট। এক গাছ থেকে অন্য গাছে, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে দ্রুতগতিতেই উড়ে বেড়ায়। ওজন সর্বোচ্চ ১ কেজি, আর মুরগীর ওজন ৫শত গ্রাম থেকে ৭শত গ্রাম হয়।
বন মোরগের রং লাল ও কালো আর বন মুরগীর রং হালকা লাল বন মুরগী ১০-১২টি ডিম পাড়ে। ডিমগুলো দেখতে দেশীয় মুরগীর ডিমের চেয়ে একটু ছোট। বন মোরগ-মুরগী গহীন অরণ্যে থাকতে পছন্দ করে। একা পাহাড়ি পথে চলাফেরা করলেই দেখা মিরবে বন মোরগের ছুটাছুটি। কিন্তু এখন তা একেবারেই দুর্লভ। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে মৌলভীবাজার ,লাউয়াছড়া ,সাতছড়ি উদ্যান ও বান্দরবানেরগহীন অরণ্যে শিকারীদের উৎপাতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দূর্লভ বন মোরগ।দেশীয় মোরগ উড়তে পারে না, তবে লাফ দিয়ে কিছুটা দূরত্বে যেতে পারে। দেখতে দেশীয় মোরগের মতো হলেও আকারে ছোট এবং ওজনে অনেক কম। এক গাছ থেকে অন্য গাছে, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে উড়ে বেড়ায়। একটি বন মোরগের ওজন সর্বোচ্চ ১ কেজি। আর মুরগীর ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম হয়।দীর্ঘদিন ধরে বন মোরগ শিকার চলছে। শিকারিদের কারনে বনের এই সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। বিশেষ করে মধ্য হেমন্ত থেকে পুরো শীতকাল বন মোরগকে টার্গেট করে শিকারিদের বিচরণ থাকে পাহাড় ও বনে। বন মোরগ-মুরগী গহীন অরণ্যে থাকতে পছন্দ করে। এক সময় পাহাড়ে গেলেই এদের উড়ে বেড়ানো ও ছুটোছুটি দেখা যেতো। কিন্তু বর্তমানে দেখা পাওয়া একেবারেই দুর্লভ।
একদিকে বিপন্ন বনভূমি। অন্যদিকে রিজার্ভ ফরেস্টও উজাড়। তার ওপর শিকারিদের উৎপাতে দিন দিন বিপন্ন মৌলভীবাজার ,হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় আকর্ষণীয় বন্যপ্রাণী বন মোরগ। কিছু বছর আগেও উপজেলার পাহাড়ি এলাকার প্রতিটি বনাঞ্চলের জনপদে পাহাড়ি রাস্তার আশপাশেই কখনো কখনো প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা যেত এসব বন মোরগ। অথচ প্রতিনিয়তই এই বন মোরগ এখন বিলুপ্তির পথে।জানা গেছে, দেখতে দেশীয় মোরগের মতো হলেও আকারে ছোট ও ওজনে অনেক কম। এটি এক গাছ থেকে অন্য গাছে, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে উড়ে বেড়ায়। একটি বন মোরগের ওজন সর্বোচ্চ ১ কেজি, আর মুরগির ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম হয়। বন মোরগের মাংস খুবই সুস্বাদু। বন মোরগ গহিন অরণ্যে থাকতে পছন্দ করে। একসময় পাহাড়ে গেলেই দেখা যেত বন মোরগের ছোটাছুটি। কিন্তু এখন তা একেবারেই দুর্লভ।
জনৈক বন মোরগ শিকারি ভাগ্যধন ত্রিপুরা জানান, শিকারিরা পোষা মোরগ নিয়ে বন মোরগের কাছাকাছি বেঁধে রাখেন। পোষা মোরগ ডাক দিলে বন মোরগ মারতে আসে। মারামারির এক পর্যায়ে শিকারি দৌড়ে গিয়ে বন মোরগটিকে ধরে ফেলে। কোনো কোনো শিকারি চিকন সুতার কল, ফাঁদ ও জাল দিয়ে একসঙ্গে ৭ থেকে ৮টি বন মোরগ শিকার করেন।সূত্রে জানা যায়, শিকারিরা ১টি বন মোরগ বিক্রি করেন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। আর বন মুরগি বিক্রি করেন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অনেকে অতিথি আপ্যায়ন অথবা শখ করে খাওয়ার জন্য শিকারিদের আগাম টাকা দিয়ে থাকেন। তবে একটি পোষা বন মোরগের দাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। শীত মৌসুমে একটি পোষা বন মোরগ থেকে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ এলাকার বন মোরগ শিকারের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে কেউ বন্যপ্রাণী শিকার করলে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় হরিণ, বন মোরগ, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ খুব জরুরি। তা না হলে একদিন প্রাণীশূন্য হবে এলাকার বনাঞ্চল।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :