স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় দ্বিতীয়বারের মতো পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন দৈনিক কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান। ২০২২ সালেও তিনি একই পুরস্কারে ভূষিত হন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ ১০ জন প্রতিবেদককে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।
বুধবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বিএসএমএমইউর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে মাহমুদুল হাসানসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের হাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি ২০১৬ সালে প্রয়াত সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান সম্পাদিত তারুণ্য নির্ভর অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর ২০১৭ সালে বাংলাদেশের খ্যাতনামা জাতীয় দৈনিক সংবাদে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে কিছুদিন জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও কাজ করেন। ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি তারুণ্য নির্ভর দৈনিক আমার সংবাদের স্বাস্থ্য বিটে একজন প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। এরপর গত মার্চ থেকে তিনি দৈনিক কালবেলায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত।
মাহমুদুল হাসানের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায়। তার পিতা একেএম নজরুল ইসলাম পেশায় শিক্ষক ও মাতা হাসিনা ইসলাম গৃহিণী। মাহমুদুল হাসান ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিতর্কেও সমান পারদর্শী। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েক বার শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন। প্রশিক্ষক হিসেবেও বেশ নাম ডাক কুড়িয়েছেন এই তরুণ। তিনি ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতিকে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন। তাছাড়া, ঢাকায় কর্মরত শরীয়তপুর জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার দফতর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন ।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুল হাসান বলেন, অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে আমার এই লেখনী অব্যাহত থাকবে। গণমাধ্যমে কর্মরত সবার তরে এই অ্যাওয়ার্ডটি আমি উৎসর্গ করলাম৷ আজকের এই অনুপ্রেরণা থেকে আগামীতে আরও কর্মচঞ্চল হয়ে কাজ করতে চাই৷
উল্লেখ্য, প্রতি বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও নবজাতক স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা বিষয়ক লেখালেখির জন্য সাংবাদিকদের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনাকর্মী ও সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয় এবং ১০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
একুশেসংবাদ.কম/বিএস
আপনার মতামত লিখুন :