জনগণের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্তন ক্যান্সারে প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে সচেতনতা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ডঃ সৈয়দা লাসনা কবির।
রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে উইমেন হোপ ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্তন ক্যান্সার সচেতনতা বিষয় এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুকাদ্দিম বিন মুসতাইনুর রহমান, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার, ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক মিসেস দিলশাদ জামাল মিতা প্রমুখ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সৈয়দা লাসনা কবির বলেন, স্তন ক্যান্সার এড়িয়ে যাওয়ার কোনো বিষয় নয়। এক্ষেত্রে আমাদের নারীদের সচেতন হতে হবে। কারণ আমরা যত দ্রুত এ রোগ নির্ণয় করতে পারবো ততটাই রোগীর জন্য ভালো।
দেশে সমাজে এই ইস্যুটির সঙ্গে যুক্ত পুরুষ ও নারীদের বৈষম্যকেও তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, সেমিনারগুলি মানুষকে রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ, প্রাথমিক শনাক্তকরণের গুরুত্ব এবং উপলব্ধ চিকিৎসার বিকল্পগুলির সম্পর্কে শিক্ষিত করে। তারা সহায়তা সংস্থানগুলির সঙ্গে লোকদের সংযোগ করতে এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের জীবনকে উন্নত করবে এমন নীতিগুলির পক্ষে সমর্থন করতেও সহায়তা করতে পারে। চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করতে সাহায্য করে।
ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যানের ওপর একটি তথ্যপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, দেশে স্তন ক্যান্সারের বাস্তবতার একটি প্রখর চিত্র এঁকেছে, তবে এই মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং মোকাবেলায় ভূমিকা পালন করার জন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুকাদ্দিম বিন মুসতাইনুর রহমান জানান, ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য এবং সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলির মুখোমুখি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা এবং তাদের অধিকারের জন্য প্রচারণার দরকার। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ বিষয়গুলো সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে।
একুশে সংবাদ/ব.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :