দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সে সতর্কতা আমলে না নিয়ে, ওষুধের দোকানি এমনকি অনেক চিকিৎসকও অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার থেকে সরে গেছেন। অনেক সময় ভাইরাস সংক্রমণেও রোগীকে এসব ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এক তথ্য। ৮২ ভাগ ব্যাকটেরিয়াই এখন মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এদের ক্ষেত্রে কাজ করে না। এতে বাড়ছে বিপদ, বাড়ছে মৃত্যু। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার কমাতে, জীবাণুর ধরন অনুযায়ী ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক জাকির হোসেন হাবিব বলেন, আমাদের দেশে একটা কালচার হয়ে গিয়েছে যে, একটা প্রেসক্রিপশনে অন্তত একটি অ্যান্টিবায়োটিক থাকতে হবে। গবেষণায় উঠে এসেছে, ৮২ ভাগ ব্যাকটেরিয়াই এখন মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এদের ক্ষেত্রে এখন আর কাজ করে না।
অধ্যাপক জাকির হোসেন হাবিব আরও জানান, কার্যক্ষমতার কারণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক সেফট্রিয়াক্সন। যে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ওষুধটি সবচেয়ে কার্যকর, তার ক্ষেত্রেই এখন ৭৭ ভাগ কাজ করে না এটি।
আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচ বছর আগে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া ছিল ৭১ ভাগ। এখন তা বেড়েছে আরও ১১ ভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির জানান, এখনও নতুন এমন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বের হয়নি যেটি বেশ ভালো কার্যকর। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক বের হয়েছিল যেগুলোর পাইপলাইনটা বেশ ড্রাই। ফলে কমন যে ইনফেকশনগুলো রয়েছে, সেগুলোতেই মানুষ মারা যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :