ধূমপান একটি ক্ষতিকর বদভ্যাস। এর কোন উপকারিতা কেউ প্রমাণ করতে পারেননি। ধূমপানের ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক হয়। এ ছাড়া ফুসফুস, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, কিডনি, জরায়ু ইত্যাদি অঙ্গে ক্যানসার হয়। সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপানের বিষয়ে সতর্কবাণী দেওয়া থাকলে ও ধূমপায়ীরা এ কথার ধার ধারে না।
এর মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করেন না, তাদের পাশে থাকা মানুষকে ও সমান ক্ষতি করেন। প্রত্যক্ষ ধূমপানের মতই ক্ষতিকর পরোক্ষ ধূমপান। দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, বিশেষ করে শিশু ও নারীরা।
অনেকেই গণপরিবহনে ধূমপান করেন। কেউ কেউ অফিস–আদালত এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ধূমপান করেন। যারা ধূমপান করে না, তারা যখন পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসে, তখন তাকে বলে অনৈচ্ছিক ধূমপান বা প্যাসিভ স্মোকিং।
কেউ যখন পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ায় শ্বাস নেন, তখন তিনি নিকোটিন ও বিষাক্ত রাসায়নিক গ্রহণ করেন। পরোক্ষ ধূমপান ক্যানসার সৃষ্টি করে। নিকোটিনের মধ্যে রয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি রাসায়নিক, যার মধ্যে কমপক্ষে ৭০টি থেকে ক্যানসার হতে পারে। ধূমপান যেসব অঙ্গসমূহে ক্যানসার সৃষ্টি করে তা হল- স্বরযন্ত্র, নাকের পিছনে গলার অংশ, নাকের সাইনাস, স্তন।
চোখের ছানি কোন কোন ঝুঁকির কারণ?চোখের ছানি কোন কোন ঝুঁকির কারণ?
মা ও শিশু পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসাতে সম্ভবত শৈশবকালীন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। ধূমপানে শিশুদের ক্ষেত্রে বেড়ে যায় লিম্ফোমা, লিউকিমিয়া ও ব্রেইন টিউমারের ঝুঁকি। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়া শ্বাস–প্রশ্বাস, হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালীকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।
ফুসফুসের ক্যানসার সম্পর্কে যা যা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজনফুসফুসের ক্যানসার সম্পর্কে যা যা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন
গর্ভবতী ও অনাগত শিশুর পরোক্ষ ধূমপানে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপান ভ্রূণের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ডেকে আনতে পারে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত। এ ছাড়া অকাল জন্ম ও কম ওজনের নবজাতকের জন্ম হতে পারে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :