AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চরিত্র বদলেছে এডিস মশার, চিন্তায় স্বাস্থ্য বিভাগ


Ekushey Sangbad
বেলায়েত হোসেন, ঢাকা
০৪:৩৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪
চরিত্র বদলেছে এডিস মশার, চিন্তায় স্বাস্থ্য বিভাগ

  • হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা
  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
  • ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালকে প্রস্তুত
  • কাউন্সিলরদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে কাজ করার নির্দেশ
  • ডেঙ্গু সনাক্তের কীট, ওষুধ ও ইনজেকশন স্যালাইনের সরবরাহে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে

 

সাধারণত জুন থেকে ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার মে মাসের শুরুতেই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া ও এডিস মশার চরিত্র বদল, চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। তাই আগেভাগেই তারা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন সারাদেশের হাসপাতালে।

ঢাকার পাশাপাশি অন্য জেলায় এডিস মশার উপস্থিতি বাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেছেন, 

ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সংকট এড়াতে আগেই ডেঙ্গু সনাক্তের কীট, ওষুধ ও ইনজেকশন স্যালাইনের সম্ভাব্য চাহিদাপত্র আমদানীকারক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে।

প্রায় সোয়া দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকাবাসীর জন্য ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল জহির জানান, 

এই বছর ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রায় এক হাজার বেড ও ২০০‍‍`র বেশী আইসিইউকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এবারই প্রথম এক বছরের নীচে শিশুদের জন্য ডেঙ্গু চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড করা হবে।

এখন থেকে এই হাসপাতালে জ্বর নিয়ে এলেই ৩০ মিনিটে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে বলেও জানান ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক।

ঢাকার গত বছরের মতো ডেঙ্গু পরিস্থিতির যেন পুনারবৃত্তি না ঘটে সে জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুই মেয়র। তারা আশ্বাস দিয়েছেন এবার পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে না।

মেয়র আতিক বলেন, 

এবার আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। গতবারের মতো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে জন্য কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

এ সময় বর্ষাকে সামনে রেখে নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়েও কাজ চলছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০টি অঞ্চলে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএসসিসির মেয়র তাপস বলেন, 

২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার। গত বছর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ৪২ হাজার রোগী কম ছিল। কারণ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২১ মে আমরা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবো।  এছাড়াও আমরা বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ সব সরকারি, আধা-সরকারি স্থাপনা ও আবাসনে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।


একুশে সংবাদ/এ.স.প্র/জাহা

 

Link copied!