AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শনিবার ২ কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৫:৪০ পিএম, ৩০ মে, ২০২৪
শনিবার ২ কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে

আগামী শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন জুন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলে এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার প্রায় এক হাজার ২২৪ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরবর্তী খুব দ্রুত সময়ে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।

এবিএম খুরশিদ বলেন, সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। সে হিসাবে এবার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে সর্বমোট স্বেচ্ছাসেবী সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, জুনের ১ তারিখ থেকে সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হবে। উপকূলের যেসব এলাকায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে অবস্থা ভালো হলে তাদের এ ক্যাপসুল দ্রুতই খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের উপকারিতা প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ হয়, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। এ ছাড়া হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমায়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানতে হবে

১. শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
২. কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে।
৩. জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

 

একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা

 

Link copied!